নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ নভেম্বর৷৷ ডাই-ইন-হারনেসে কেন্দ্রীয় নিয়ম হুবুহু চালু করার জন্য রাজ্য মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে৷ তাতে, প্রয়াত সরকারী কর্মচারীদের পরিবার উপকৃত হবেন বলে দাবি করেন শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ৷
বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, আজ রাজ্য মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে ডাই ইন হারনেস বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় আইন রাজ্যে চালু করার পাশাপাশি পুরনো আইনের কিছু নিয়মও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে৷ তাঁর কথায়, নয়া নিয়ম অনুযায়ী কর্মচারীদের দুটি বয়সভিত্তিক ক্যাটাগরীতে ভাগ করে সুবিধাসমূহ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে ৫০-৬০ বছরের মধ্যে কোন কর্মচারী কর্মরত অবস্থায় যদি মারা যান এবং সেই পরিবারে যদি কোন চাকুরী না থাকে তবে সেই পরিবার ওই কর্মচারীর ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিমাসের সম্পূর্ণ বেতন পাবেন৷ ৬০ বছর বয়সের পর স্বাভাবিকভাবেই পেনশন পাবেন৷
শিক্ষামন্ত্রী আরো জানিয়েছেন, ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে যদি কোন কর্মচারী মারা যান এবং সেই পরিবারে যদি কেউ সরকারি চাকুরী করেন তবে সেইক্ষেত্রে বর্তমান নিয়ম অপরিবর্তিত থাকবে৷ তবে, ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত কোন কর্মচারীর মৃত্যু হলে সেই পরিবারে যদি চাকুরী পাবার যোগ্যতা সম্পন্ন কোন লোক না থাকে তবে সেইক্ষেত্রে এককালিন ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে৷ বর্তমান নিয়মে মাত্র ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়৷ তাঁর আরও দাবি, উক্ত বয়সসীমার মধ্যে যদি কোন কর্মচারী মারা যান তবে সেই পরিবারে যদি চাকুরির উপযুক্ত কেউ থাকে তাহলে তার নিয়োগের ক্ষেত্রে সেই দপ্তরের শূণ্যপদে ১৫ শতাংশ পদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে৷ প্রয়োজনে অন্য দপ্তরেও নিয়োগের পথ খোলা থাকবে৷ শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, ডাই-ইন-হারনেসে চাকুরীর আবেদন জানানোর এক বছরের মধ্যে ওই দপ্তরে চাকুরী দেওয়া সম্ভব না হলে অন্য দপ্তরে চাকুরী দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে৷ অর্র্থৎ ডাই ইন হারনেস নিয়োগের ক্ষেত্রে এখন প্রতিটি দপ্তরেই শূণ্যপদের ১৫ শতাংশ পদ নির্দিষ্ট থাকবে৷