আগরতলা, ৪ নভেম্বর, (হি.স.) : রোজগার বাড়াতে গাভী দেবে রাজ্য সরকার। এর আগেও গাভী পালনের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সমূহ সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব।
রবিবার বিজেপি-র ত্রিপুরা প্রদেশ কিষাণ মোর্চার কার্যকারিণী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দলের ত্রিপুরা প্রদেশ কমিটির সদর দফতরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব। কৃষাণ মোর্চার ত্রিপুরা প্রদেশ কমিটির সভাপতি তথা প্রাক্তন মন্ত্রী জওহর সাহা-সহ অন্যান্য স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে সংগঠনের সদস্য
বৈঠকে এসেছিলেন।
![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2018/11/yuyu-300x200.jpg)
দলের প্রদেশ সভাপতি তথা মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গো-পালন রাজ্যের বেকারদের স্বাবলম্বী করে তুলতে পারে। রাজ্যের অর্থনৈতিক বুনিয়াদকে মজবুদ করে তুলতে হবে। এর দ্বারা রাজ্যে দুধের চাহিদাও মিটবে। অপুষ্টি দূর হবে। তিনি জানান, পাঁচ হাজার পরিবারকে দুটো করে গাভী প্রদান করা হবে। ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে রাজ্য সরকার পাঁচ হাজার পরিবারকে দুটো করে মোট দশ হাজার গাভী প্রদান করবে। এর জন্য ব্যাঙ্ক থেকে যা সুদ আসবে তা পরিশোধ করবে রাজ্য সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব জানান, ডিসেম্বর মাস থেকেই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপিত হবে। বৈঠকে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব বলেন, ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ত্রিপুরা রাজ্যের উন্নয়নের জন্য বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। সেই লক্ষ্যে রাজ্য সরকারও কাজ করছে। তিনি জানান ভারত সরকারের ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া (এফসিআই) এবারই প্রথম ত্রিপুরা রাজ্যের কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনবে। তা সরকারি ন্যায্য মূল্যের দোকানের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করা হবে।
এর ফলে সাধারণ মানুষ অল্প মূল্যে ভালো মানের চাল পাবেন এবং সরাসরি ধান কেনায় কৃষক ধানের অনেক বেশি মূল্য পাবেন। এতে উভয়ের লাভ হবে। এই কাজটি সহজ ছিল না। এর জন্য ত্রিপুরা সরকারকে এফসিআইকে ভরতুকি দিতে হচ্ছে। সাড়ে ১৭ টাকা করে এফসিআই চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনবে। আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে ধান কেনা শুরু হবে বলেও জানান বিপ্লব দেব।