নয়াদিল্লি, ১ নভেম্বর (হি.স.) : স্বামীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরেও স্ত্রীর চোখে একফোঁটা জল দেখা যায়নি। শুধুমাত্র এই যুক্তিতে তাঁকেই স্বামীর খুনি হিসেবে গণ্য করে যাবজ্জ্বীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। স্বামীর মৃত্যুতে না কাঁদা কোনও অপরাধ নয় বলে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের মতে, যেহেতু অন্য পারিপার্শ্বিক তথ্য-প্রমাণ ওই মহিলার খুনের সঙ্গে যুক্ত থাকার স্বপক্ষে ইঙ্গিত করে না, তাই শুধুমাত্র এই যুক্তিতে কাউকে অপরাধী গণ্য করা যায় না। গুয়াহাটি হাইকোর্টের এই রায় খারিজ করে অবশেষে পাঁচ বছর জেলবন্দি থাকার পর অসমের ওই মহিলাকে মুক্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট।
অসমের ওই মহিলাকেই তাঁর মৃত্যুর আগে স্বামীর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল এবং স্বামী খুন হওয়ার পরও একটুও কাঁদেননি তিনি। এই ‘অস্বাভাবিক আচরণ’-কেই প্রমাণ হিসেবে ধরে নিম্ন আদালত এবং গুয়াহাটি হাইকোর্ট। রহস্যময় খুনের দায় স্ত্রীর ওপর চাপিয়ে যাবজ্জ্বীবন কারাদণ্ডেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। পাঁচ বছর জেল খাটার পর অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বেকসুর খালাস পেলেন তিনি।
স্বামীর মৃত্যুতে না কাঁদা কোনও অপরাধ নয় বলে দেশের শীর্ষ আদালত মনে করে এবং যেহেতু অন্য পারিপার্শিক তথ্য-প্রমাণ ওই মহিলার খুনের সঙ্গে যুক্ত থাকার স্বপক্ষে ইঙ্গিত করে না, তাই শুধুমাত্র এই যুক্তিতে কাউকে অপরাধী গণ্য করা যায় না। অবিলম্বে ওই মহিলাকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আরএফ নরিম্যান এবং বিচারপতি নবীন সিনহার ডিভিশন বেঞ্চ।