পুনরায় নিয়োগ না করা হলে আত্মহত্যার হুশিয়ারী বন দপ্তরের ছাটাই কর্মচারীদের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৯ অক্টোবর৷৷ সরকার শুধু আশ্বাস দিয়েই চলছে৷ আমরণ অনশনের সময় প্রশাসনের আধিকারীকরা আশ্বাস

সোমবার অরণ্য ভবনে যান বন দপ্তরের ছাটাই হওয়া কর্মচারীরা৷ ছবি নিজস্ব৷

দিয়েছিলেন কিছু একটা ব্যবস্থা করবেন৷ কিন্তু, আজও সেই আশ্বাসের কোন বাস্তবতা মিলছে না৷ শেষ পর্যন্ত আবার অরণ্য ভবনের সামনে জড়ো হলেন বন দপ্তরের ছাটাই হওয়া কর্মচারীরা৷ তাদের এবারের চরম হুশিয়ারী সরকার যদি তাদের পুনরায় নিয়োগ না করে তাহলে তারা আত্মহত্যা করবে৷ আর এর জন্য রাজ্য সরকারই দায়ী থাকবে৷ ছাটাই হওয়া কর্মচারীদের এই হুশিয়ারীতে বিভিন্ন মহলে রীতিমতো উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে৷

সংবাদে প্রকাশ, বাম জমানায় বন দপ্তরে ৩৬৫ জন কর্মচারী নিয়োগ করা হয়েছিল ক্যাজুয়েল ভিত্তিতে৷ দীর্ঘ সময় তারা কাজ করার পরও তাদের নিয়মিত করা হচ্ছিল না৷ শেষ পর্যন্ত বহু আন্দোলন করার পর তাদের নিয়মিত করার সিদ্ধান্ত নেয় তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার৷ ৩৫০ জন অনিয়মিত ক্যাজুয়েল কর্মচারীকে নিয়মিত করা হয়৷ বাকি ১৫ জনকে নিয়মিত করা হয়নি৷ তাদেরকে ছাটাই করে দেওয়া হয় চাকুরী থেকে৷ তাদের সাথে একই দপ্তরের আরও কুড়ি জনকে ছাটাই করা হয়৷ মোট ৩৫ জন ছাটাই হয়ে বসে আছেন গত চার মাস যাবৎ৷ নতুন সরকার আসার পরই তাদের ছাটাই করা হয়েছে৷ তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে৷ পরিবারগুলি প্রচন্ড আর্থিক সংকটে কাটাচ্ছেন৷

ইতিপূর্বে ছাটাই কর্মচারীরা অরণ্য ভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেছিলেন৷ তখন তাদের প্রশাসনের তরফ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল কিছু একটা করা হবে৷ কিন্তু, আজও তাদের জন্য কিছু করা হয়নি৷ এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে সোমবার আবারও তারা অরণ্য ভবনে ছুটে যান৷ দেখা করেন পিসিসিএফ ডঃ অলিন্দ রস্তোগির সাথে৷ তাঁকে তাঁদের করুণ অবস্থার কথা বলেন৷ তিনি জানান, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোন নির্দেশ না আসলে তাঁর পক্ষে কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না৷ একপ্রকার হতাশ হয়ে পড়েছেন ছাটাই কর্মীরা৷ তারা এদিন সংবাদ মাধ্যমের কাছে জানিয়েছে সরকারের তরফ থেকে যদি অবিলম্বে তাদের নিয়োগ না করা হয় তাহলে তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নেবেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *