নিজস্ব প্রতিনিধি, চুরাইবাড়ি, ২২ অক্টোবর৷৷ অসমের সীমান্তবর্তী ত্রিপুরা পুলিশের জালে ফের বমাল ধরা পড়েছে নেশা কারবারি৷ তাদের হেফাজত
থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে নগদ তিন লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা, প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার বেশি মূল্যের গাঁজা, পাঁচটি মোবাইল হ্যান্ডসেট৷ এর সঙ্গে আটক করা হয়েছে পাঁচ নেশা চোরাকারবারিকে৷
জানা গেছে, সোমবার দুপুরে গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে উত্তর ত্রিপুরার পানিসাগর পুলিশের ওসি এবং এসআই যথাক্রমে বিভাস দাস ও গুরুপদ দেবনাথ অসম ত্রিপুরা সংযোগী জাতীয় সড়ক নাকা চেকিং গড়ে তুলেন৷ এক সময় খোয়াই থেকে অসমগামী একটি মারুতি ভ্যানকে তাঁদের সন্দেহ হয়৷ তখন তারা গাড়িকে আটকে তাতে তল্লাশি চালান৷ ভ্যানের চার যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্রে তদন্তে গতি পায় পুলিশ৷ ইত্যবসরে জাতীয় সড়কের পাশে দাঁড়িয়েছিল একটি পাঞ্জাব বডির লরি৷ তাতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার গাঁজা উদ্ধার করেন অভিযানকারীরা৷ এরই সূত্র ধরে লাগোয়া এক জায়গা থেকে একটি বলেরো সহ অন্য আরেকজনকেও পাকড়াও করে পুলিশ৷
খবর পেয়ে বিকাল চারটে নাগাদ উত্তর ত্রিপুরার পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী অকুস্থলে ছুটে গিয়ে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন৷ পুলিশি জেরায় ধৃতরা জানিয়েছে, তারা মারুতি ও বলেরো গাড়ি সঙ্গে নিয়ে লরিটিকে অসম ত্রিপুরা সীমান্ত গেট পার করে দিতে এসেছিল৷ টাকাগুলো তাদেরকে গাঁজার মূল পার্টি অগ্রিম হিসেবে দিয়েছে৷ তারপর হাত বদল হয়ে অসমের পাচারকারীরা৷ লারিটিকে উত্তরপ্রদেশ পর্যন্ত পৌছে দেওয়ার কথা ছিল৷
এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, আগামীকাল ধৃতদের ধর্মনগর আদালতে তোলার পাশাপাশি গাঁজাগুলো পরীক্ষার জন্য আগরতলার ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হবে৷ পুলিশ আরও জানায়, ধৃতদের বাড়ি আগরতলার ধনপুর এলাকায়৷ তাদের নাম মনজুর হোসেন, জফর আলি, রস্তম আলি, জাহিদ হোসেন৷ তবে বলেরো চালকের নাম জানা যায়নি৷

