নয়াদিল্লি, ২ অক্টোবর (হি.স.) : কৃষক আন্দোলনের জেরে উত্তেজনা দিল্লিতে। ঋণ মকুব, কম দামে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেল এবং স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করা। এই তিন দাবি নিয়ে কিষান ক্রান্তি পদযাত্রা বার করেছিলেন কয়েক হাজার কৃষক। উত্তরপ্রদেশ থেকে যাত্রা শুরু করে মঙ্গলবার দিল্লিতে মিছিল শেষ করার কর্মসূচি ছিল তাঁদের। কিন্তু চাষিদের দিল্লিতে ঢুকতেই দিল না পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের সীমান্তে জল কামান ও টিয়ার গ্যাস দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হল মিছিলকে। এই নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে নানা মহলে।
ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের ব্যানারে কিষান ক্রান্তি পদযাত্রা করে মঙ্গলবার দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমান্তে পৌঁছে দিল্লিতে ঢোকার চেষ্টা করেন কয়েক হাজার কৃষক। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে জল কামান ছুঁড়ল পুলিশ। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেলও। কৃষকদের পিছু হঠাতে পুলিশ লাঠিচার্জও করে। এই পদযাত্রায় দেখা গিয়েছে কয়েকশো ট্র্যাক্টর, ট্রলি ও গাড়ি। কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ সীমান্তে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় জারি ১৪৪ ধারা। সম্পূর্ণ ঋণমকুব, বিদ্যুৎয়ের ট্যারিফ হ্রাস,ষাটোর্ধ্ব কৃষকদের জন্য পেনশন-সহ একগুচ্ছ দাবিতে গান্ধীজয়ন্তীতে পদযাত্রা করবে বলে জানিয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করেছিল বিকেইউ। তারা জানিয়েছিল, হরিদ্বার থেকে শুরু হয়ে পদযাত্রা দিল্লিতে শেষ হবে। অভিযোগ, কেন্দ্র ও উত্তরপ্রদেশ সরকার তাদের দাবি মানছে না। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, কৃষকদের দিল্লিতে ঢুকতে না দেওয়া ভুল হয়েছে। ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন নামে যে সংগঠনটি কৃষকদের মিছিলে সংগঠিত করেছিল, তার নেতা নরেশ টিকায়েত বলেছেন, আমরা তো শৃঙ্খলা ভাঙিনি। আমাদের থামিয়ে দেওয়া হল কেন? আমরা সরকারের কাছে দাবিদাওয়ার কথা জানাতে চেয়েছিলাম। নিজেদের দেশের সরকার যদি আমাদের কথা না শোনে, তাহলে কি পাকিস্তান অথবা বাংলাদেশে যাব? উত্তরপ্রদেশ থেকে যে হাইওয়ে দিয়ে দিল্লি পৌঁছানো যায়, তা এদিন কৃষক মিছিলে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। উত্তরপ্রদেশের বস্তি, গোন্ড, গোরখপুর থেকে অনেকে মিছিলে এসেছিলেন । তাঁদের সঙ্গে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের আখ চাষিরাও ছিলেন ।