
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানিতে উত্তরপ্রদেশের সেন্ট্রাল শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের তরফ থেকে জমি দান করার কথা বলা হয়েছে। এলাহবাদ হাইকোর্টের তরফে বিতর্কিত জমির এক তৃতীয়াংশ জমি মুসলিমদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল। সেই জমিই রাম মন্দির তৈরির জন্য হিন্দুদের দেওয়ার কথা বলেছে শিয়া ওয়াকফ বোর্ড। বোর্ডের আইনজীবী শীর্ষ আদালতে বলেন, ”এই মহান দেশে ঐক্য, সম্প্রীতি, শান্তি আর সমন্বয়ের স্বার্থে মুসলিমরা তাদের জমির অংশ দান করে দিতে চায়।” সুন্নি মুসলিম পক্ষের আইনজীবী শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ”ঠিক যেভাবে তালিবানরা বামিয়ানে বুদ্ধমূর্তি ধ্বংস করেছে, সেভাবেই বাবরি ধ্বংস করেছে হিন্দু তালিবান। কোনও ধর্মেরই মসজিদ ধবংস করার কোনও অধিকার নেই। একটা মসজিদ ধ্বংস করে কোনও সমস্যার সমাধান হয় না।”
ওই আইনজীবী উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তোলেন। কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার কীভাবে কোনও একপক্ষকে সমর্থন করতে পারে, সে ব্যাপারে প্রশ্ন তোলেন তিনি। সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এদিকে, সম্প্রতি বিজেপি বিধায়ক ও ধর্মীয় নেতা রাম বিলাস ভেদান্তি বলেন, ‘‘রাম যেখানে জন্মেছিলেন সেখানেই মন্দির নির্মাণ করা হবে৷ রাম মন্দির নির্মাণের জন্য কোনও আদালতের নির্দেশের অপেক্ষা করা হবে না৷ আদালত মন্দির নির্মাণের নির্দেশ দিলে ভাল, না দিলেও মন্দির ওখানেই হবে৷ ২০১৯ এর আগেই মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হবে৷’’