
দিল্লি জুড়ে আবর্জনার পাহাড় জমেছে। ধীরে ধীরে দিল্লি আবর্জনায় ঢাকা পড়বে এমন সম্ভবনাও তৈরি হয়েছে বলে মনে করছে আদালত। এরপরই এই আবর্জনা পরিস্কারের দায়িত্ব কার কেন্দ্রীয় সরকার না দিল্লি সরকারের, তা জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। এই প্রশ্নের মুখেই দিল্লির উপ-রাজ্যপাল অনিল বৈজল বলেন, আবর্জনা পরিস্কারের দায়িত্ব পৌর সংস্থার এবং তিনি নিজে এই কাজ দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন। এমন জবাব দেওয়ার পরই বৃহস্পতিবার ক্ষোভে ফেটে পড়ে শীর্ষ আদালত। চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ আদালতকে এদিন আদালতবন্ধু কলিন গনসালভেস জানান, উপ-রাজ্যপালের দফতরের কেউ এখনও এই বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেয়নি। আবর্জনা পরিস্কার না হওয়ায় বৃহস্পতিবার এই ভাষাতেই দিল্লির উপ-রাজ্যপাল অনিল বৈজলকে তিরস্কার করল সুপ্রিম কোর্ট। বৈজলকে অবিলম্বে আবর্জনা পরিস্কারের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের পরিচয়পত্র এবং নির্দিষ্ট পোশাক দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই এক রায়ে আদালত জানায়, দিল্লি শাসনের ক্ষেত্রে নির্বাচিত সরকারেরই প্রধান কর্তৃত্ব। যেকোনও সিদ্ধান্ত ক্যাবিনেট উপ-রাজ্যপালকে অবশ্যই জানাবে। কিন্তু তিনটি ক্ষেত্র (ভূমি ও আইন-শৃঙ্খলা) ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে উপ-রাজ্যপালের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই ক্যাবিনেটের। পাশাপাশি উপ-রাজ্যপাল যাতে ‘যান্ত্রিকভাবে’ কাজ না করেন, সেই নির্দেশও দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এছাড়া ক্যাবিনেটের সাহায্য ও পরামর্শ অনুযায়ী তাঁকে কাজ করার কথা বলা হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার আদালতের এমন ক্ষোভ প্রকাশ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
আপ সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই উপ-রাজ্যপাল বনাম সরকার দ্বৈরথ সামনে এসেছে। কেজরিওয়ালের দল বারবার অভিযোগ করেছে, কেন্দ্রের প্রতিনিধি হয়ে উপ-রাজ্যপাল গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের কাজকর্মে বাধা দিচ্ছে। তারপরই সুপ্রিম কোর্টের ওই ‘ঐতিহাসিক’ রায়। কিন্তু উপ-রাজ্যপাল কি নিজের দায় দায়িত্ব পালন করতে পারছেন, উঠছে প্রশ্ন।