বিশালগড় ও তেলিয়ামুড়ায় বিদ্যুতের ছোবলে নিহত এক, মা ও ছেলে সহ গুরুতর আহত তিন

নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম/তেলিয়ামুড়া, ১১ জুন৷৷ সোমবার বিদ্যুৎ সংযোগ সারাই করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির৷ ঘটনা বিশালগড় থানার অধীন নেহাল চন্দ্র নগর এলাকায়৷ নিহতের নাম রঞ্জন সাহা৷ এলাকাবাসী সূত্রে জানা গিয়েছে মানিক দেবনাথ এবং রঞ্জন সাহা উভয়ে মিলে বিদ্যুতের লাইন সারাইয়ের কাজ করতে অফিস থেকে বেরিয়ে যান৷ ট্রান্সফরমার সারাইয়ের জন্য গিয়ে দেখেন জঞ্জালে ভরা৷ মানিকবাবু জঞ্জাল পরিস্কার করতে গেলে রঞ্জন সাহা ট্রান্সফরমার সারাই করতে৷ ট্রান্সফরমারটিতে চারিদিকে প্রচুর জঞ্জাল ছিল৷ পরিস্কার করার সময় হঠাৎ ট্রান্সফরমারে সর্টসার্কিট হয়৷ তাতে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হন৷ ছটফট করতে থাকেন৷ রঞ্জন সাহাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন মানিক দেবনাথ৷ দুজনেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন৷ কিন্তু, তিনি প্রাণে বাঁচলেও রঞ্জন সাহা ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান৷

শুরু হয় চিৎকার চেচামেচি৷ এলাকার লোকজন ছুটে আসেন৷ পরে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে৷ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে৷ নিহত রঞ্জন সাহার বাড়ি বিশালগড় পশ্চিম লক্ষ্মীবিল এলাকায়৷ মানিক দেবনাথ জানিয়েছেন ট্রান্সফরমারের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল৷ অফিস এবং এলাকাবাসী থেকে বহুবার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছিল যাতে সংস্কার করা হয়৷ এমন বহু ট্রান্সফরমার রয়েছে যেগুলি বিপজ্জনক অবস্থায়৷ যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণ৷

এদিক, বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন মা ও ছেলে৷ ঘটনাটি ঘটেছে তেলিয়ামুড়া থানার আধীন কৃষ্ণপুর এলাকায় সোমবার বিকাল চারটা নাগাদ৷ বর্তমানে মা ও ছেলের চিকিৎসা চলছে আগরতলায় জি বি হাসপাতালে৷ মা সুনীতি সরকার এবং ছেলে মিন্টু সরকার বর্তমানে বিপদমুক্ত নয় বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে৷

সংবাদে প্রকাশ ঘরের মধ্যেই বিদ্যুৎ পরিবাহী তার ছিড়ে পড়ে রয়েছিল৷ মা সুনীতি সরকার স্নান করে এসে তারটি সরানোর জন্য চেষ্টা করতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন৷ মাকে বাঁচাতে বারো বছরের ছেলে মিন্টু সরকার চেষ্টা চালায়৷ ছেলেও মায়ের সাথে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হন৷ পরে বড় ছেলে সহ এলাকাবাসী বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করে আহত অবস্থায় তাদের দুজনকে উদ্ধার করে তেলিয়ামুড়া হসপাতালে নিয়ে যায়৷ যদিও খবর পেয়ে তেলিয়ামুড়া ফায়ার স্টেশনের দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে৷ তবে তার আগেই দুজনকে হাসপাতালে পৌঁছানো হয়৷ তেলিয়ামুড়া হাসপাতালের চিকিৎসকরা মা ও ছেলেকে আগরতলায় জি বি হাসপাতলে রেফার করে দেয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *