নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা,১১ জুন৷৷ রাজ্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি আবারও স্পষ্ট করলেন আইনমন্ত্রী রতন লাল নাথ৷ মোদি সরকারের চার বছরের

সাফল্যের বর্ণনা দিতে গিয়ে তাঁর দাবি, সকলকে স্বাবলম্বী করে তোলাই রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্য৷ কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের সহায়তায় তা সম্ভব বলে দাবি করেন তিনি৷ তাঁর কথায়, কর্মসংস্থানের একমাত্র মাধ্যম সরকারি চাকুরি হতে পারে না৷ বিজেপির প্রাক্ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে৷ তাঁর মতে, মেক ইন ইন্ডিয়া, স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া, মুদ্রা লোনের মাধ্যমে দেশে অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটিয়েছে মোদি সরকার৷ এ রাজ্যেও এই প্রকল্প গুলির মাধ্যমে সকলকে স্বাবলম্বী করে তোলা হবে৷
সোমবার বিজেপি প্রদেশ কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে দলের প্রদেশ সাধারণ সম্পাদিকা প্রতিমা ভৌমিক এবং আইনমন্ত্রী রতন লাল নাথ মোদি সরকারের চার বছরের সাফল্যকে ঘিরে বিভিন্ন কর্মসূচির বিস্তৃত বর্ণনা দেন৷ দলের প্রদেশ সাধারণ সম্পাদিকা জানিয়েছেন, মোদি সরকারের চার বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বিজেপি কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে গত ২৬ মে থেকে ১১ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচী নেওয়া হয়েছিল৷ এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, পূর্বতন সরকারের আমলে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি রাজ্য সরকার নিজস্ব বলে জনগণের কাছে তুলে ধরত৷ তিনি জানান, স্বচ্ছ ভারত অভিযানের অন্তর্গত ২৬২ টি সাফাই অভিযান এই সময়ের মধ্যে সংঘঠিত করা হয়েছে৷ এছাড়া ৬২২০ টি বুদ্ধিজীবী সম্মেলন করা হয়েছে৷ ১৬৬৫টি গ্রাম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, এক হাজারের অধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের সাথে জনসংযোগ করা হয়েছে৷ তিনি জানান, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধাভোগী ২১৩৫০ জনের কাছ থেকে তাদের মতামত সংগ্রহ করা হয়েছে৷ সারা রাজ্যে ১৭৯২৯ জন বাইক র্যালিতে অংশ গ্রহণ করেছেন৷ পাশাপাশি ৩৪টি সুকল ও কলেজে অভিযান চালানো হয়েছে৷
আইনমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রের সহায়তায় রাজ্যে বেকারদের স্বনির্ভর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ বিগত দিনেও কেন্দ্রের সহায়তায় বহু মানুষ স্বাবলম্বী হয়েছেন৷ তাঁর কথায়, মোদি সরকারের মেক ইন ইন্ডিয়া, স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া এবং মুদ্রা লোনের মাধ্যমে দেশে অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটেছে৷ এর সুফল রাজ্যও পাচ্ছে৷ তিনি জানান, মুদ্রা লোনের মাধ্যমে রাজ্যে এখন পর্যন্ত ৪লক্ষ ৩০৮ জনকে ঋণ দেওয়া হয়েছে৷ ঋণের মোট অর্থ রাশি হল ১৪৯১ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা৷ আইন মন্ত্রী আরোও জানান, দেশে স্কীল ইন্ডিয়া প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২০ সালের মধ্যে ৫০ কোটি যুবককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে৷ এ রাজ্যেও স্কীল ইন্ডিয়ার মাধ্যমে ১লক্ষ ৪০ হাজার ৬০৪ জন যুবককে প্রশিক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে৷ এই প্রশিক্ষণের ফলে যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত বলে দাবি করেন তিনি৷ কারণ, ইতিমধ্যে ১৩৫৬৫ জনের কর্ম সংস্থান হয়েছে৷ আইনমন্ত্রীর কথায়, সকলকে স্বাবলম্বী করে তোলাই রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্য এবং প্রধান লক্ষ্য৷ কারণ সরকারি চাকুরি কর্মসংস্থানের একমাত্র মাধ্যম হতে পারে না৷ তিনি দাবি করেন, সকলকে সরকারি চাকুরি দেওয়া হবে নির্বাচনের আগে বিজেপি এমন প্রতিশ্রুতি দেয়নি৷ কিন্তু, সকলের কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল৷ তাঁর দাবি, বিজেপির প্রাক্ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে৷