
তল্লাশি অভিযানে ব্রহ্মপুর আরিবাম লেইকাই এলাকার বাড়ি-বাড়ি ঢুকে ৫৭৫ জন পুরুষ, ৩১৫ জন মহিলার পরিচয় ও এলাকার বাসিন্দা সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্য দুই পুরুষ এবং তিন মহিলার কাছে উপযুক্ত নথিপত্র পাওয়া যায়নি। তাই এই পাঁচজনকে তুলে আনা হয়েছে পরমপত থানায়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে থানা সূত্রের খবর।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, গত ৯ মে পূর্ব ইমফলের কউরেঙ্গি ক্যাম্পাসে বিএসএফ-এর সেক্টর হেডকোয়ার্টারের প্রবেশদ্বারে শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলে দুই জওয়ান মারা যাওয়ার পাশাপাশি এক মহিলা-সহ দুজন আহত হয়েছিলেন। ওই ঘটনার দুদিনের মধ্যে প্রিপাক জঙ্গি সংগঠনের দুই কট্টর সদস্য এবং তার সহযোগী তিন সাঁকরেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের লেইশাংথেম থউদাম মামাঙের এক তম্বা থউদামের বছর ২৭-এর ছেলে থউদাম সুরেশ এবং ৩০ বছর বয়সি থউদাম আবই।
এছাড়া আইইডি বিস্পোরণের সঙ্গে জড়িত আরও তিনজনকে লাঙ্গল টাইপ দু-এর বাসিন্দা প্রয়াত ইয়াইমার ৫৮ বছরের ছেলে থকচাম রঞ্জিত, তার ৫৫ বছরের স্ত্রী থকচাম অংবি থারঙ্গউবি লেইমা এবং সামুসাং লাইরেম্বি লেইরাক এলাকার প্রয়াত অবইয়ামার পত্নী বছর ৬০-এর ইরম অংবি কুমুদিনী বলে পরিচয় পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছিলেন রাজ্যের পুলিশপ্রধান এলএম খাউতে।
ডিজিপি এলএম খাউতে আরও জানান, গত বুধবার পূর্ব ইমফলের কউরেঙ্গি ক্যাম্পাসে বিএসএফ-এর সেক্টর হেডকোয়ার্টারের সামনে সংঘটিত আইইডি বিস্ফোরণ সংক্রান্ত এক মামলা সেদিন সঙ্গে-সঙ্গেই রুজু করা হয়েছিল হেইঙ্গাং থানায়। তাছাড়া ঘটনার পর অপরাধীদের পাকড়াও করতে পুলিশ ও আধাসেনার যৌথবাহিনী পূর্ব ইম্ফল, পশ্চিম ইম্ফল এবং থউবাল জেলার সন্দেহজনক জায়গায় চিরুনি অভিযান শুরু করে।