
নলবাড়িতে আয়োজিত প্রদেশ বিজেপি-র কার্যনির্বাহক কমিটির সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছেন বরখলার বিধায়ক কিশোর নাথ। আজ তাঁর বাড়িতে কাছাড়ের ১ নম্বর বিদেশি শনাক্তকরণ আদালতের জারিকৃত বিদেশি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এ সম্পর্কে বিধায়কের প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে তিনি বলেন, বিদেশি শনাক্তকরণ আদালতের নোটিশকে তিনি এবং তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা অবশ্যই সম্মানের সঙ্গে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁরা যে ভারতের নাগরিক সে সম্পর্কে আদালতে প্রয়োজনীয় দলিল, নথিপত্ৰ দর্শাবেন। যে সব দলল রয়েছে তাতে স্পষ্ট হয়ে যাবে তাঁর পরিবার বিদেশি কি না।
তবে বিস্ময়ের সঙ্গে বিধায়ক বলেন, বাপ-দাদা সহ তাঁদের তিন-তিনটি প্ৰজন্ম ভারত ভূখণ্ডের বাসিন্দা, ভারতের বৈধ নাগরিক। ভিটে–বাড়ি-জমি–গ্রাম — কিছুই স্থানান্তরিত হয়নি। তিন পুরুষ ধরে একই বাসস্থানের বাসিন্দা। এর পরও বিদেশি নোটিশ দেওয়ার পিছনে রহস্য রয়েছে বলে নাম না-ধরে বিরোধী কংগ্রেসকে ঠুকেছেন তিনি।
খোলসা করতে বললে বিধায়ক নাথ বলেন, ‘পূৰ্বতন কংগ্ৰেস সরকারের ভুলের খেসারত আজ আমাকে দিতে হচ্ছে। তদানীন্তন কংগ্রেস সরকারের আমলে ২০০৮ থেকে ২০১১–১২ থেকে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নবায়নের কাজ চলছে। সে সময় কংগ্ৰেস সরকার আমাদের বিরুদ্ধে বিদেশি নোটিশ দেওয়ার নিৰ্দেশ দিয়েছিল পুলিশের সীমান্ত শাখাকে। সরকারি নিৰ্দেশ পাওয়ার পর চাকরি বাঁচাতে গিয়ে কতিপয় অফিসার নিজের নিজের বাড়িতে নতুবা দফতরে বসে আমাদের পরিবার এবং বেছে বেছে যার-তার নামে মনেগড়া বিদেশি সন্দেহে তালিকা তৈরি করেছিলেন। ওই তালিকার ভিত্তিতে আজ আমাকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।’
বিধায়ক কিশোর বলেন, ‘আমি একজন জনপ্ৰতিনিধি, নিৰ্বাচনে বিজয়ী বিধায়ক। একজন জনপ্ৰতিনিধির বিরুদ্ধে যদি এভাবে বিদেশি নোটিশ পাঠিয়ে হেনস্তা করা হয়, তা হলে সাধারণ মানুষের কী করুণ দশা হচ্ছে আজকের ঘটনায় তা আরও পরিষ্কার হয়ে গেছে।’
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, কাছাড় জেলার অন্তর্গত বড়খলার বিজেপি বিধায়ক কিশোর নাথ-সহ তাঁর পরিবারের সাতজনের বিরুদ্ধে বিদেশি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বিধায়কের সঙ্গে বিদেশির তালিকায় নাম রয়েছে তাঁর পত্নী নিলীমা নাথ, তাঁর চার ভাই যথাক্ৰমে মতিলাল নাথ, প্ৰদীপ নাথ, জগদীশ নাথ, মাণিক নাথ এবং বউদি রাখি নাথের।