
বিহারের ভোজপুর জেলার আরা পরিসদনে বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যসভার সাংসদ আর কে সিনহা বলেন, যে কংগ্রেস দেশে স্বাধীনতার সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিল। সেই কংগ্রেসই কালান্তরে দুর্নীতির প্রতীক হিসেবে উঠে এসেছে। স্বাধীনতার পরে মহাত্মা গান্ধী কংগ্রেসকে ভেঙে দিয়ে স্বচ্ছ লোকতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু, মহাত্মা গান্ধীর এই প্রস্তাবকে মানা হয়নি। তাই আজ কংগ্রেস দুর্দশার শেষ সীমানা পৌঁছে গিয়েছে।
কর্ণাটক নির্বাচনের ফলাফল প্রসঙ্গে কর্ণাটকবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, কর্ণাটকে কংগ্রেস আঞ্চলিকতা এবং সংকীর্ণতার খেলা খেলে ছিল। কিন্তু, রাজ্যের মানুষ কংগ্রসের যাবতীয় চক্রান্তকে ব্যর্থ করে দিয়ে বিজেপির স্বপক্ষে ভোট দিয়েছে। কংগ্রেস উত্তর-দক্ষিণের স্লোগান তুলেছিল। এমনকি বিজেপিকে উত্তর ভারতের পার্টি পর্যন্ত বলে ছিল তারা। তবুও কর্ণাটকের মানুষ বিজেপিকে সমর্থন করেছে এবং কংগ্রেসের নোংরা ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ প্রমাণিত করেছে। সিদ্দারামাইয়া এবং কুমারস্বামীর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, নৈতিকতাকে বর্জন করে দুইজনে একতার কথা বলছে।
রাজ্যপালের সাংবিধানিক সিদ্ধান্তের উপর রাজ্যবাসীর ভরসা রয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার পরে তিনি জানিয়েছেন, কংগ্রেস মুক্ত ভারতের স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে। প্রসঙ্গত, এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য কর্মসমিতির সদস্য তথা সাংসদ ডা. সুরেন্দ্র সাগর, জেলামন্ত্রী পঙ্কজ শ্রীবাস্তব, নবীন প্রকাশ, রিঙ্কু সিংহা, বিজেপির আইনজীবী সেলের জেলা অধ্যক্ষ সন্দীপ কুমার, রজনিশ সিংহা, মোহিত শ্রীবাস্তব প্রমুখ।