নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ মে৷৷ উপজাতিদের মধ্যে পাট্টা বিলিতে পূর্বতন সরকারের আমলে বিস্তর অনিয়ম হয়েছে৷ সমস্ত অনিয়মের বিরুদ্ধে এখন ব্যবস্থা নিতে চলেছে বন দপ্তর৷ যাঁদের পাট্টা বিলি এবং নানা সুবিধা প্রদান করা হয়েছে, সমস্ত কিছুর পর্যালোচনা করবে বন দপ্তর৷ তাতে অনেকের রাতের ঘুম উড়ে গেছে৷
সূত্রের খবর, নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর বন মন্ত্রী উপজাতিদের মধ্যে পাট্টা বিলির সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করেন৷ তাতে, প্রচুর অনিয়ম হয়েছে বলে প্রমাণও মিলেছে৷ সূত্রের বক্তব্য, সারা রাজ্যে ১ লক্ষ ২৯ হাহজার ৭০৮ জন উপজাতিকে জমির পাট্টা দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু, বাস্তবে পাট্টা প্রাপকের সংখ্যা অনেক কম৷ শুধু তাই নয়, পাট্টা প্রাপকদের নানা সুবিধা দেওয়া এমন উপজাতির সংখ্যা ৯৩ হাজার ৬৭৩ জন৷ কিন্তু, এক্ষেত্রেও অনেকেই সুবিধা পাননি, তবে, সরকারী হিসাবে তাঁদের সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে৷
জমির পাট্টা দেওয়া ক্ষেত্রে পূর্বতন সরকার নিয়ম মানেনি বলে দাবি সূত্রের৷ আইন অনুযায়ী, প্রত্যেক উপজাতিকে সর্বোচ্চ ২৫ কানি জমি দেওয়া যেতে পারে৷ তবে, সকলকে একই হারে জমি পাট্টা দেওয়ার বিধান রয়েছে আইনে৷ কিন্তু, তা মানেনি পূর্বতন সরকার৷ সূত্রের বক্তব্য, কাউকে ২ কানি বা ৫ কানি, সর্বোচ্চ ১০ কানি জমি পাট্টা দিয়েছে পূর্বতন সরকার৷ সমান কাউকেই জটি পাট্টা দেওয়া হয়নি৷
সূত্রের দাবি, এই সমস্ত অনিয়ম নিয়ে পর্যালোচনায় সমস্ত অনিয়ম খঁুজে বের করবে বন দপ্তর৷ উপজাতিদের উন্নয়নে গৃহিত ব্যবস্থা সত্বেও তাঁদের আজও পিছিয়ে থাকা দূর্ভাগ্যজনক, বলেছেন বন দপ্তরের জনৈক পদস্থ আধিকারীক৷ তাঁর কথায়, সরকারী খাতায় যে হিসেব রয়েছে সে অনুযায়ী উপজাতিরা জমির পাট্টা পেতেন তবে তাঁদের পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে যেত৷ কিন্তু, সে জায়গায় আজও তাঁদের মূলস্রোতে ফেরানোর চেষ্টা চলছে৷ পূর্বতন সরকারের আমলে নানা অয়িনম উপজাতিদের অনেক পিছিয়ে দিয়েছে, উষ্মা প্রকাশ করে বলেন ওই আধিকারীক৷ তাঁর কথায়, খুব শীঘ্রই এবিষয়ে পর্যালোচনা করা হবে৷ তিনি আশা করছেন, প্রকৃত সুবিধাভোগীকেই এখন থেকে জমির পাট্টা দেওয়া সম্ভব হবে৷