নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৯ মে৷৷ শহরের প্রতাপগড় সংলগ্ণ হাওড়া নদীর উপর চন্দ্রমোহন সেতুর পাশে বস্তিবাসীদেরও নোটিশ দিল প্রশাসন৷

নোটিশে উল্লেখ রয়েছে বস্তিবাসীরা যাতে সেখান থেকে উঠে যান অন্যথায় প্রশাসন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে৷ এই নোটিশ পাওয়ার পর বস্তিবাসীরা রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়েছেন৷ তারা উপায়ান্তর না পেয়ে জেলা শাসকের বরাবরে একটি দাবীপত্র পেশ করেছেন৷ দাবীপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের সুষ্ঠু পুনর্বাসন দেওয়ার পরই এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হোক৷ এনিয়ে নোটিশপ্রাপ্ত বস্তিবাসীরা আট নং বড়দোয়ালী বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক আশীষ কুমার সাহার সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং গোটা বিষয়টি জানান৷ যদিও আশীষ সাহা বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের আধিকারীকদের সাথে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন৷
জানা গিয়েছে, ১১ মে পর্যন্ত সাত দিনের সময়সীমা বেধে দিয়ে প্রশাসনের তরফ থেকে হাওড়া নদীর উপর চন্দ্রমোহন সেতু সংলগ্ণ নতুন পল্লীর বাসিন্দাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে এলাকা থেকে সরে যাওয়ার জন্য৷ এই নোটিশ পাওয়ার পরই বস্তিবাসীদের মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়েন৷ তারা দীর্ঘ ত্রিশ চল্লিশ বছর যাবৎ ঐ এলাকায় বসবাস করছেন৷ হঠাৎ করে সাত দিনের নোটিশে তাদেরকে উচ্ছেদ করার বিষয়টি নিয়ে তারা রীতিমতো দিশাহারা৷ বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর মোটরস্ট্যান্ড সহ বিভিন্ন স্থানে যেভাবে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে তাতে এই বস্তিবাসীরা আশঙ্কায় রয়েছেন কখন বোলডজার চালানো হয়৷
এদিকে, বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রাক্তন নগরোন্নয়ন মন্ত্রী মানিক দে জানান, বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন কোনও বস্তিবাসীদের জনস্বার্থে উচ্ছেদ করলে তাদের আগে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছে৷ শহরের বিভিন্ন স্থানে বস্তিবাসীদের জন্য আবাসান তৈরী করে দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু, নতুন বিজেপি সরকার এই ধরনের আবাসন কিংবা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ অভিযানে নেমেছে৷ সেটা অগণতান্ত্রিক এবং মানবতা বিরোধীই রাজ্যে যে আইনের শাসন নেই তা প্রমাণ করছে৷