নিজস্ব প্রতিনিধি, বক্সনগর, ২২ এপ্রিল৷৷ নেশা সর্বনাশা, নেশার কবলে পড়ে এই সমাজে কতই না অঘটন ঘটে৷ নেশার অবৈধ কারবারীরা পাড়া গ্রাম নষ্টের মূল কারিগর৷ অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে মোটা অংকের লাভের জন্য, নিজের স্বার্থ সিদ্ধি করার জন্য, সমাজের বহু পরিবারের জীবনে অশান্তি ও মৃত্যুর দিকে ঢেলে দিতেও পিছুপা হচ্ছে না৷ এমনি একটি মর্মান্তিক ঘটনা বক্সনগর ব্লকের অধিনে দক্ষিণ কলমচৌড়া গ্রামের মধ্যপাড়ার দয়াল হরি বিশ্বাসের মৃত্যু৷ মৃতের স্ত্রী সীমা বিশ্বাস অভিযোগ করেন গত ১৬-০৪-২০১৮ ইং সকাল ১০ দশটায় তাঁর স্বামী ৫০০০ টাকা নিয়ে বাড়ী থেকে বের হয়৷ ঐ দিন প্রায় ৩ ঘন্টা পরে উনার নিকট খবর আসে তাকে অতিরিক্ত মদ্য পান করিয়ে ৫০০০ পাঁচ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় এবং আঘাত করে স্বামীকে চিরতরে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয় বলে কমলচৌড়া মামলা রুজু করেন৷ মদ বিক্রেতা পূর্ণিমা নমঃ দাস ও উনার স্বামী অজিত নমঃ এর বিরুদ্ধে অভিযোগ৷ তারা মদ খাইয়েছে বসত ঘরে কিন্তু তাকে উদ্ধার করা হয়েছে গরুর ঘর থেকে -অবস্থার বেগতিক দেখে বক্সনগর সামাজিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ সেখানে প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা করে কিছুক্ষণ পরে জিবি হাসপাতালে রেফার করা হয়৷ জিবিতে নেওয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যেই মৃত্যু হয় দয়াল হরি বিশ্বাসের৷ দয়াল হরির মৃত্যুর খবর এলাকায় চাউর হতেই, গ্রামের মানুষ সঙ্গবদ্ধভাবে মদ বিক্রেতা পুর্ণিমা নমঃ বাড়ীতে যান এবং ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়৷ বিশেষ করে মহিলারা৷ কলমচৌড়া ও বক্সনগরের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের অভিমত হল নেশা কারবারীদের ঠেক গুড়িয়ে দেওয়া এবং তাদের চিহ্ণিত করে শাস্তি প্রদান করা৷ নেশা কারবারীরা হলেন টিটু দাস, অজুর্ন দাস, সুখেন দাস নমঃ, তারক দেব, সন্তোষ সরকার নমঃ, সীতা রানী সরকার, আরো অনেকে৷ পুলিশ প্রশাসন যাতে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ভাবে ব্যবস্থা নেয় সেজন্য মহিলাদের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে৷ তা না হলে মহিলা বাহিনী রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবেন বলে জানায়৷ এখন পর্যন্ত দয়াল হরির মৃত্যুর রহস্য উন্মোচন করতে পারিনি পুলিশ প্রশাসন৷ হয়নি আসামী গ্রেপ্তার, পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ণ এলাকাবাসীর৷
2018-04-23