নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ এপ্রিল ৷৷ দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এক বিচারপতির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সর্বভারতীয় স্তরে কংগ্রেসে ও সিপিআইএম নেতৃত্বাধীন বিরোধীদের সরকার বিরোধী কথিত চক্রান্তের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন ত্রিপুরা মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালত জনস্বার্থ বিষয়ক মামলার বিষয়টিকে তিনি বিরোধী দলগুলির দেউলিয়াপনা বলে অভিহিত করেছেন৷
বৃহস্পতিবার রাতে বিজেপির প্রদেশ কার্যালয়ে আহুত এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রদেশ বিজেপি সভাপতি বলেন, কংগ্রেস এবং সিপিআইএম বরাবরই দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করে আসছে৷ দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এক বিচারপতির মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে কংগ্রেস প্রথম থেকেই নানা অজুহাতে বিজেপির সর্বভারতীয় অমিত শাহকে জড়িয়ে অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা করে আসছিল৷ ইউপিএ সরকার থাকাকালীন সিবিআইয়ের ক্ষমতার অপব্যবহার করে অমিত ভাই শাহকে ফাঁসানোর চেষ্টা হয়৷ কিন্তু তা সফল হয়নি৷
তিনি বলেন, এখন কর্ণাটক সহ বিভিন্ন রাজ্যে নির্বাচন এগিয়ে আসতেই পুরনো এই ঘটনাকে পুনরায় জিইয়ে তুলে অমিত সাহকে বদনাম করার ষড়যন্ত্র করেছে কংগ্রেস৷ কংগ্রেসের সঙ্গ দিয়েছে সিপিআইএমও৷ তারা ১৫০ জন সাংসদকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন৷ এটা নিতান্তই অপমানজনক৷
তিনি বলেন, নির্বাচনী ময়দানে মোকাবিলায় ক্ষমতা হারিয়েছে কংগ্রেস এবং তার জোটসঙ্গীরা৷ কর্ণাটকের নির্বাচন আসন্ন৷ সেখানেও কংগ্রেসের ভরাডুবি প্রায় সুনিশ্চিত৷ কোনওভাবেই জনগণ সেখানের বর্তমান সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতি রানি নন৷ কংগ্রেস বিষয়টি বোঝে গেছে৷ কংগ্রেসের উচিত সাফল্যের খতিয়ান পেশ করা৷ কর্ণাটকের কংগ্রেস পরিচালিত সরকার এতদিনে কী করতে পেরেছে তাঁর জবাব দেওয়া উচিত৷ কিন্তু এ ধরনের সরাসরি লড়াই কংগ্রেসের পক্ষে সহজ হবে না বোঝেই পুরনো ঘটনা তুলে এনে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়েছে৷ এমন কি রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েও দেশকে সমগ্র বিশ্বের সামনে বদনাম করার চেষ্টা হয়েছে৷
কিন্ত দেশের সর্বোচ্চ আদলত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে বিচারপতির মৃতু্যু একটি স্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা৷ যে আইনজীবি এ ধরনের মামলা তুলে আদালতের সময় নষ্ট করার চেষ্টা করেছে তাঁকেও দেশবাসী ভালো দৃষ্টিতে দেখবে না৷ কারণ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠিত নরেন্দ্র মোদি সরকার জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়ে শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন, তিনি বলেন
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ইতোপূর্বে মামলাটি নিয়ে প্রচুর বিতর্ক হয়েছে৷ এবং তখনও অমিত শাহের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি৷ এমন কি সাক্ষ্য প্রমাণও পাওয়া যায়নি৷ এখন নতুন করে আবার এই ঘটনা তুলে দিয়ে বির্তক চাঙ্গা করার চেষ্টা হয়েছে৷ তবে জনগন এবার উপযুক্ত জবাব দেবে৷ রাহুল গান্ধীর উচিত সেই ১৫০ জন সাংসদ যাঁদেরকে নিয়ে তিনি রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়েছিলেন তাদেরকে নিয়ে জনসমক্ষে ক্ষমা চাওয়া৷
বিপ্লব কুমার দেব আরও উল্লেখ করেন, সিপিআইএম এবং কংগ্রেসকে মানুষ বর্জন করেছে৷ কিন্তু তারা জনগনের মন বুঝতে নারাজ৷ তারা ক্রমাগত শুধুই অভিযোগ আর অভিযোগ করে যাচ্ছে৷ বিজেপির কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে৷ এতে তাদের জনভিত আরও দুর্বল হবে৷
2018-04-20