রাজ্যে পরিবর্তন হচ্ছে সুকলেরপাঠ্যসূচির , গুরুত্ব পাবে সংসৃকত

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ এপ্রিল৷৷ রাজ্যের বিদ্যালয় শিক্ষার পাঠ্যক্রমে ব্যাপক গুণগত পরিবর্তন আনতে চলেছে নতুন সরকার৷ ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং এর পাঠ্যক্রম ও পরীক্ষাপদ্ধতি হুবহু চালু হবে রাজ্যে৷ একইসঙ্গে রাজ্যের নতুন সরকার সংসৃকত শিক্ষায় অধিক গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷
শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার শিক্ষার মান উন্নয়ন করতে চাইছে৷ এ নিয়ে কোনও ধরনের সমঝোতা করতে চাইছে না সরকার৷ শিক্ষার মান উন্নয়নে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে, ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং এর পাঠ্যক্রম ও পরীক্ষাপদ্ধতি হুবহু রাজ্যে চালু করা হবে৷ অসমে ইতিমধ্যেই তা চালু করা হয়ে গেছে৷ জানা গিয়েছে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই এনসিইআরটি পাঠ্যক্রম অনুসারে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা চলবে৷
শিক্ষার গুণমান ও জাতীয় স্তরে ত্রিপুরার ছাত্রছাত্রীদের প্রতিযোগিতার জন্য উপযুক্তভাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ এনসিইআরটি এর পাঠক্রমে রাজ্যের বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার সংস্থান রয়েছে ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই সূচির পরিবর্তন পরিবর্ধন ঘটিয়ে রাজ্যের ঐতিহাসিক, ভৌগলিক এবং অন্যান্য বিষয়গুলোর স্থান দেওয়ার সংস্থান রয়েছে এনসিইআরটি এর নিয়মে৷ রাজ্যেও তাই করা হবে৷
বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে সরকারি বিদ্যালয়গুলোকে ক্রমান্বয়ে ইংরেজি মাধ্যমে রূপান্তরিত করা হবে৷ একইসঙ্গে রাজ্যে সংসৃকত শিক্ষার ওপর ও গুরুত্ব দেওয়া হবে৷ এখন শুধু সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিতে সংসৃকত ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে আছে৷ তা আরও নিচুস্তর থেকে উপরের স্তর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে৷ একইসঙ্গে রাজ্যে প্রথম ভাষা হিসেবে বাংলা, ককবরক, সংসৃকত, লুসাই ও উর্দু নেওয়ার সংস্থান রয়েছে৷ কিন্তু রাজ্যের বিদায়ী সরকার শিক্ষক নিয়োগ না করে এ সব ক্ষেত্রে শিক্ষার জন্য প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে৷ বর্তমান সরকার এ সব দূর করবে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে৷ তাছাড়, শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা সৃষ্টি করে গেছে পূবর্তন সরকার৷ কিন্তু বর্তমান সরকার শিক্ষার হাল ফেরাতে বদ্ধপরিকর৷
এদিকে, সমস্ত ভাষার উৎস সংসৃকতকে নিয়ে রাজ্য সরকার চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে৷ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সংসৃকত বিষয় অন্তর্ভূক্ত করা হবে৷ ১৯৯০ সালের পর রাজ্যে একজনও সংসৃকত বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগ করা হয়নি৷ ২৫ বছরের বাম জমানায় এই বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষিত ছিল৷ বর্তমানে ১১৭ জন শিক্ষক রয়েছেন সংসৃকত বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের পাঠ দেওয়ার জন্য৷ রাজ্য বামফ্রন্ট সরকার সংসৃকত শিক্ষার ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের কোনওদিন উৎসাহিতও করেনি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *