নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১ এপ্রিল৷৷ নতুন অর্থ বছরের শুরুতেই জ্বালানীর মূল্যবৃদ্ধিতে আগুনের ছ্যাকা লাগল দেশবাসীর গায়ে৷ রবিবার রেকর্ড ছুঁলো পেট্রোল-ডিজেলের দাম৷ এদিন রাজধানী দিল্লিতে পেট্রোলের দাম গিয়ে দাঁড়িয়েছে লিটারপিছু ৭৩.৭৩ টাকায়৷ যা গত চার বছরে সর্বোচ্চ৷ অন্যদিকে, নতুন রেকর্ড গড়ে ডিজেলের দাম হল ৬৪.৫৮ টাকা৷
স্বাভাবিকভাবেই এরাজ্যেও জ্বালানী তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে৷ এদিন আগরতলায় পেট্রোলের দাম গিয়ে দাঁড়ায় লিটারপিছু ৬৯.৫৬ টাকায়৷ অন্যদিকে, ডিজেলের দাম হল লিটারপিছু ৬২.৭০ টাকা৷ রাজ্যে গত অর্থ বছরের অন্তিম দশদিনে মাঝে একদিন বাদ দিলে প্রতিদিন দাম বেড়েছে পেট্রোল-ডিজেলের৷ ২২ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত মাঝে ২৮ মার্চ বাদ দিলে পেট্রোলের মোট দাম বেড়েছে লিটারপিছু ১.২৭ টাকা৷ অন্যদিকে, একই সময়ে ডিজেলের মোট দাম বেড়েছে লিটারপিছু ১.৫৬ টাকা৷ এই প্রবণতা নতুন অর্থ বছরের শুরুতেও জারি রয়েছে৷
দেশে ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্ঢেম্বর শেষবারের মতো পেট্রোল ও ডিজেলের দাম আকাশছোঁয়া হয়েছিল৷ পেট্রোলের দাম পৌঁছেছিল ৭৬.০৬ টাকায় এবং ডিজেলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৬৪.৫৮ টাকা৷ গত বছরের জুন মাস থেকে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পেট্রোল-ডিজেলের দাম ঠিক হচ্ছিল৷ আজ দিল্লিতে ১.৮ পয়সা বেড়ে পেট্রোলের দাম দাঁড়ায় ৭৩.৭৩ টাকা৷ আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম এখন ব্যারেল প্রতি ৭০.৭৪ ডলার৷
আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পেট্রোল-ডিজেলের দাম ঠিক করতে গিয়ে জ্বালানীর দাম উঠানামা করছে৷ সাধারণ মানুষকে এই চাপ থেকে বাঁচানোর জন্য তেল মন্ত্রকের একটা প্রস্তাব ছিল, জ্বালানির উপর থেকে অন্তঃশুল্ক কমানো হোক৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, পেট্রোল-ডিজেলের দামের উপর থেকে শুল্কের হার না কমলে দাম কমার কোন রাস্তা নেই৷ কিন্তু, এ বছর সাধারণ বাজেটে সেই প্রস্তাব নিয়ে কোনও উদ্যোগ নেননি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি৷
উল্লেখ্য, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে ভারতেই এই জ্বালানি তেলের দাম সর্বোচ্চ৷ তার উপর নতুন করে দামবৃদ্ধি হয়েছে৷ এর ফলে পরিবহন শিল্পের উপর চাপ আরো খানিকটা বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ ২০১৪ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৬ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত জেটলি ৯ বার অন্তঃশুল্ক বাড়িয়েছেন৷ কমিয়েছেন মাত্র এক বার৷
নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সমস্ত জিনিস আসে ডিজেলচালিত গাড়িতে৷ আর ডিজেলের খরচ বাড়া মানে সেই পরিবহনের খরচ বৃদ্ধি৷ তার জেরে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধিও অনিবার্য৷ অর্থাৎ ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব সরাসরি পড়বে মধ্যবিত্তের পকেটে৷