নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩১ মার্চ৷৷ মরশুমের প্রথম কালবৈশাখীর দাপটে রাজ্যের সতেরটি মহকুমা দারুনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে৷ ধলাই জেলার লংতরাইভ্যালী, আমবাসা, গন্ডাছড়া এবং কমলপুর মহকুমা, গোমতী জেলার অমরপুর, করবুক মহকমা, খোয়াই জেলার খোয়াই মহকুমা, উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগর ও কাঞ্চনপুর মহকুমা, সিপাহীজলা জেলার বিশালগড় ও জম্পুইজলা মহকুমা, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার সাব্রুম মহকুমা, ঊনকোটি জেলার কৈলাসহর ও কুমারঘাট মহকুমা এবং পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার মোহনপুর, সদর ও জিরানীয়া মহকুমায় বেশ কয়েকটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে৷ বহু বাড়িঘর ভেঙ্গে পড়েছে৷ দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ধলাই জেলার মহকুমাগুলিতে ৭২টি পরিবার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে৷ ঐ মহকুমাগুলিতে চারটি বাড়ি মারাত্মকভাবে এবং ৬৮টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ এদিকে, গোমতী জেলার করবুকে তিনটি বাড়ি পুরোপুরি ধবংস হয়েছে৷ এছাড়া চবিবশটি বাড়ি মারাত্মকভাবে ও চারটি বাড়ি আংশিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে৷ অমরপুরে ১১টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ এই মহকুমায় একটি গবাদী পশুর মৃত্যু হয়েছে৷
এদিকে, খোয়াই জেলার পদ্মবিলে দুই পরিবারের সাতটি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ তাদের ১৯, ২১০ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে৷ উত্তর জেলায় কদমতলায় দুইটি বাড়ি পুরোপুরি ধবংস হয়ে গিয়েছে৷ এছাড়া ৬৪টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ এই জেলায় কাঞ্চনপুরে চারটি বাড়ি মারাত্মকভাবে এবং ৯২টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ এদিকে, সিপাহীজলা জেলার বিশালগড়ে এবং জম্পুইজলায় এগারটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ তাছাড়া রাবার বাগানও নষ্ট হয়েছে৷ মহকুমা প্রশাসনের দাবি নিয়ম অনুযায়ী তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব নয়৷ দক্ষিণ জেলার সাব্রুমের সাতচাঁদে দুই পরিবারের সাতটি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ ঊনকোটি জেলাতেও কৈলাসহর মহকুমার চন্ডিপুর ও গৌরনগর ব্লকে ছয়টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ এছাড়া, বিদ্যুতের খঁুটি বেশ কয়েকটি ভেঙ্গে পড়েছে৷ কুমারঘাটে আটটি গ্রাম ঘূর্ণিঝড়ে প্রভাবিত হয়েছে৷ সেখানে ২২ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ তাদের দুটি বাড়ি পুরোপুরি ধবংস হয়ে গিয়েছে৷ এছাড়া তিনটি বাড়ি মারত্মকভাবে এবং বারটি বাড়ি আংশশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ পশ্চিম জেলার মোহনপুর মহকুমায় তেইশটি বাড়ি সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ তবে, রাবার বাগান ও বিদ্যুতের খঁুটি নষ্ট হয়েছে৷ তাছাড়া সদর মহকুমায় ডুকলীতে চাড়িপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত পুরোপুরি ধবংস হয়ে গিয়েছে এবং জিরানীয়ায় সাতটি কুড়ে ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷
এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরূপন চলছে৷ জেলা ও মহকুমা প্রশাসনের তরফে সমস্ত ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে৷ ক্ষয়ক্ষতির পরিমানের উপর নির্ভর করে নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে৷