দুই রমনীকে ধর্ষণের দায়ে গ্রেপ্তার টিএসআর জওয়ান, পলাতক ভিলেজের ভাইস চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ ফেব্রুয়ারি৷৷ উত্তর জেলার কাঞ্চনপুর থানাধীন কাংরাই এডিসি ভিলেজে দুই উপজাতি রমণী ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার পরিস্থিতি থমথমে৷ ধর্ষিতারা এই ব্যাপারে দুইজনের বিরুদ্ধে কাঞ্চনপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন৷ অভিযুক্তরা হল টিএসআর ১৩ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ান ক্ষতিরাং রিয়াং ও কাংরাই ভিলেজ কমিটির ভাাইস চেয়ারম্যান বলেন্দ্র রিয়াং৷ পুলিশ ইতিমধ্যেই ক্ষতিরাম রিয়াং নামে অভিযুক্ত টিএসআর জওয়ানকে গ্রেপ্তার করেছে৷ তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়৷ আদালত থেকে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে৷ অপর অভিযুক্ত ভেলজ কমিটির ভাইস চেতয়াম্যান বলেন্দ্র রিয়াং পলাতক৷ পুলিশ তাকে হন্যে হয়ে খঁুজছে৷

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাংরাই এডিসি ভিলেজের দুই উপজাতি রমনী গত বৃহস্পতিবার সকালে লাকড়ি সংগ্রহ করতে যান৷ তখনই তাদের  দুই ভাগ্ণে টিএসআর জওয়ান ক্ষতিরাম রিয়াং ও ভিলেজ কমিটির ভাইস চেয়রাম্যান বলেন্দ্র রিয়াং মহিলাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ৷ টিএসআর জওয়ান ক্ষতিরাম রিয়াং ধর্ষণ শেষে তাদের হুশিয়ারী করে বলে ঘটনাটি কাউকে জানালে তাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হবে৷ ধর্ষিতা মহিলারা অবশ্য তাতে আতঙ্কগ্রস্থ না হয় কাঞ্চনপুর থানায় গিয়ে অভিযুক্তদের নামধাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেন৷ পুলিশ মামলা নিয়ে তৎপরতা শুরু করে৷ টিএসআর জওয়ান ক্ষতিরাম রিয়াং নির্বাচনী কাজে পানিসাগর থানার অধীনে কর্মরত ছিল৷ বৃহস্পতিবার সকালে পানিসাগর থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ অপর অভিযুক্ত ভিলেজ কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান পলাতক৷ তাকে আটক করতে পুলিশ তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে৷ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলাকাবাসীর তরফে দাবী জানানো হয়েছে৷ উল্লেখ্য, উপজাতি মহল্লায় এ ধরণের ধর্ষণের ঘটনা প্রায়শই ঘটে চলেছে৷ বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই মামলা হচ্ছে না৷ অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, পুলিশ মামলা নিলেও তদন্ত প্রক্রিয়া রাজনৈতিক দলের নেতাদের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে৷ সেই সাথে অনেক তদন্তকারী পুলিশ অফিসার বদলী হয়ে যাচ্ছেন৷ তাতে সাজার হার দিনদিন কমছে৷