বেতন পাননি কোর্টের কর্মচারীরা, দিনভর বিক্ষোভ, রাতে মিলল আশ্বাস

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ ফেব্রুয়ারি৷৷ জানুয়ারী থেকে বেতন পাচ্ছেন না আদালতের প্রায় তেরশ কর্মচারী৷ এরই জেরে বৃহস্পতিবার দিনভর পশ্চিম জেলা দায়রা জজ আদালত চত্বরে কোর্টের কর্মচারীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন৷ বেতন না দেওয়া হলে শুক্রবার থেকে কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুশিয়ারীও তাঁরা দিয়েছিলেন৷ পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে উঠে, সন্ধ্যার পর জরুরী ভিত্তিতে আইন দপ্তর ও অর্থ দপ্তরের বৈঠক হয়৷ বৈঠক শেষে পশ্চিম জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক বিক্ষোভকারীদের আশ্বাস দেন শুক্রবারই ট্রেজারি থেকে তাঁদের বেতন প্রদান করা হবে৷

মূলত, উচ্চ আদালতের রায়ে সপ্তম বেতন কমিশন অনুসারে আদালতের কর্মচারীদের বেতন মিটিয়ে দিতেই বিপত্তি দেখা দেয়৷ ট্রেজারিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উচ্চ আদালতের রায় মেনে সপ্তম বেতন কমিশন মোতাবেকই কোর্টের কর্মচারীদের বেতন মিটাতে হবে৷ কিন্তু অর্থ দপ্তর স্পষ্ট জানিয়ে দেয় রাজ্যের আর্থিক অবস্থার কারণে উচ্চ আদালতের রায় মেনে কোর্টের কর্মচারীদের সপ্তম বেতন কমিশন অনুসারে বেতন দেওয়া সম্ভব নয়৷ আইন দপ্তর এবং অর্থ দপ্তরের পৃথক নির্দেশিকায় মহা সমস্যায় পড়ে ট্রেজারি৷ এর জেরে জানুয়ারী মাসে কোনও বেতন রিলিজ করেনি ট্রেজারি৷ দীর্ঘদিন ধরে জানুয়ারির বেতন সহ সপ্তম বেতন কমিশন চালু করার দাবী জানিয়ে আসছিলেন আদালতের কর্মচারীরা৷ কিন্তু, আইন গ্যাঁড়াকলে সপ্তম বেতন কমিশন চালু করা শুধু নয়, বেতন মিটিয়ে দেওয়াই সম্ভব হচ্ছিল না৷

ফলে, বৃহস্পতিবার আন্দোলনের পথ বেছে নেন কোর্টের কর্মচারীরা৷ এদিন পশ্চিম জেলা দায়রা জজের আদালতের বিচারকের অফিসের বাইরে সকাল থেকেই বিক্ষোভ দেখান কর্মচারীরা৷ শুরুতে বিচারক অফিসে ছিলেন না৷ পরবর্তী সময়ে তিনি তাঁদের কাজে যোগ দিতে বলেন৷ কিন্তু, বিক্ষোভকারীরা বিচারকের কোন কথা শুনেননি৷ সন্ধ্যায় অর্থ দপ্তর ও আইন দপ্তরের সাথে বৈঠকে স্থির হয় আপাতত পঞ্চম বেতন কমিশন অনুসারে শুক্রবারই ট্রেজারী থেকে কোর্টের কর্মচারীদের বেতনের টাকা রিলিজ করে দেওয়া হবে৷ এই আশ্বাসের ভিত্তিতে আন্দোলন স্থগিত রাখা হয়৷