নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ জানুয়ারি৷৷ আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে জোরদাড় প্রস্তুতি শুরু হয়েছে৷ বুধবার বিধানসভা নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হবে৷ এদিন থেকে মনোনয়ন পত্র জমা নেওয়া শুরু হবে৷ এবিষয়ে অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক তাপস রায় জানিয়েছেন, আগামীকাল বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার সাথে সাথেই মনোনয়ন পত্র জমা নেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যাবে৷ এদিকে, এক্সপেনডিচার অবজারভার সকলেই আগামীকালের মধ্যে রাজ্যে এসে যাবেন৷
তিনি জানান, মোট ১৯ জন এক্সপেনডিচার অবজারভার এবারের নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলির ব্যয় সংক্রান্ত বিষয়ে নজরদারি চালাবেন৷ ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন এসে গেছেন৷ তিনি আরও জানান, কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীও রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে৷ ইতিমধ্যে ৭৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী রাজ্যে এসে পৌঁছেছে৷ তাঁদেরকে ৮টি জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে৷ তিনি জানান, উত্তর জেলায় ২৫টি স্থানে, ঊনকোটি জেলায় ১৬টি স্থানে, ধলাই জেলায় ৩০টি স্থানে, খোয়াই জেলায় ১৮টি স্থানে, পশ্চিম জেলায় ৩৩টি স্থানে, সিপাহীজলা জেলায় ২১টি স্থানে, গোমতী জেলায় ২১টি স্থানে এবং দক্ষিণ জেলায় ৩১টি স্থানে তাদের মোতায়েন করা হয়েছে৷
শ্রী রায় জানিয়েছেন, এবারের নির্বাচনে প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে তিনটি করে স্টেটিক সার্ভেলেন্স টিম এবং ফ্লাইং স্কোয়াড রয়েছে৷ ইতিপূর্বে নির্বাচনগুলিতে একটি করে স্টেটিক সার্ভেলেন্স টিম এবং ফ্লাইং স্কোয়াড থাকতো৷ তিনি জানান, প্রতিটি টিমের সাথে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন৷ প্রশাসনের বিভিন্ন আধিকারিকদের বিশেষ ক্ষমতাবলে ম্যাজিস্ট্রেট তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ তাছাড়া ঐ টিমের সাথে পুলিশ, কর দপ্তর, আবগারি ও শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকরা রয়েছেন৷ মূলত, কোন গাড়িতে করে নগদ টাকা, অস্ত্রসস্ত্র কিংবা আপত্তিকর জিনিস পরিবহন করা হচ্ছে কিনা, সে সমস্তকিছুর উপর নজরদারি চালাচ্ছে ঐ টিম৷
এদিন তিনি আরো জানিয়েছেন, নির্বাচনী প্রচার এবং সভা করার ক্ষেত্রে কমিশনের নির্দেশিকা অবশ্যই মানতে হবে৷ তিনি জানান, নির্বাচনী প্রচারের উপর নজরদারি চালাতে এমসিএমসি কমিটি গঠিত হয়েছে৷ প্রত্যেক রাজনৈতিক দলগুলিকে যেকোন প্রচারের ক্ষেত্রে ঐ কমিটির অনুমোদন নিতে হবে৷ যদি কোন প্রচারে কমিটি অনুমতি না দেয়, তবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাতে পারবে রাজনৈতিক দল৷
তিনি আরও জানিয়েছেন, কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী যে কোন সভায় রাজনৈতিক নেতৃত্ব বক্তব্যরাখতে পারবেন৷ এক্ষেত্রে সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ মানতে হবে৷ তিনি জানান, ব্যক্তিগত, ধর্মীয়, জাতিগত, সম্প্রদায়গত এবং ভাষাগত বিরোধ সৃষ্টি করে এমন কোন বক্তব্য রাখা যাবেনা৷ কমিশনের নজরে বিষয়টি আসলে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ তাছাড়া, যেকোন সভা করার ক্ষেত্রে ৪৮ ঘন্টা আগে অনুমতি নিতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে৷ অনলাইনে কিংবা অফলাইনে আবেদন জানানো যাবে৷ সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট এলাকার থানার নো-অবজেকশন জমা দিতে হবে৷