নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ জানুয়ারি৷৷ সলতে পাকানো হয়ে গিয়েছে৷ বামফ্রন্ট এবং বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচনে পাঁচ
দলীয় মহাজোট গড়তে চলেছে কংগ্রেস৷ আইএনপিটি, এনসিটি, আইপিএফটি তিপ্রাহা এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে সাথে নিয়ে শতবর্ষ প্রাচীন কংগ্রেস নির্বাচনে বামফ্রন্ট ও বিজেপিকে কড়া টক্কর দিতে ময়দানে নামছে৷ বৃহস্পতিবারই এর সূচনা করেছিলেন কংগ্রেসের পূর্বোত্তরে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ভূপেন বোরা৷ শুক্রবার তা আরো কয়েক ধাপ এগিয়েছে৷ শনিবার ফের বৈঠক হবে পাঁচ দলীয় মহাজোট গঠনের বিষয়ে৷
এদিন কংগ্রেস পরিষদীয় দলনেতা গোপাল রায়ের বাসভবনে চারদলীয় জোট গঠনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়৷ এই বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক সব্যসাচী দত্ত উপস্থিত ছিলেন৷ তাছাড়া ছিলেন আইএনপিটির বিজয় রাঙ্খল ও জগদ্বীশ দেববর্মা, আইপিএফটি তিপ্রাহার রাজেশ্বর দেববর্মা এবং এনসিটির অনিমেষ দেববর্মা৷ ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য নেতা বাবুলাল সিংহ৷
সূত্রের খবর, পাঁচ দলীয় জোট গঠনের পাশাপাশি আসন বন্টন নিয়েও এদিন প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে৷ বৃহস্পতিবার প্রদেশ কংগ্রেস আইএনপিটি এবং এনসিটির সাথে জোট গঠনের বিষয়ে বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছে৷ আজ এনসিটির অনিমেষ দেববর্মা বিজেপি সম্পর্কে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন৷ ফলে, কংগ্রেসের সাথে এদিনের বৈঠক যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷
এদিন কংগ্রেস পরিষদীয় দলনেতার বাসভবনে পাঁচ দলীয় মহাজোট গঠনে প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা বৈঠক হয়েছে৷ সূত্রের খবর, এআইসিসি’র সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জির অনুমতি ক্রমেই জোট নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে৷ সূত্রের দাবি, নির্বাচনী প্রচারে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি রাজ্যে আসবেন৷
এই বৈঠকে স্থির হয়েছে আগামী ২৩ জানুয়ারী আনুষ্ঠানিকভাবে পাঁচ দলীয় মহাজোটের ঘোষণা দেওয়া হবে৷ এরই মাঝে আসন বন্টনও চূড়ান্ত করা হবে৷ সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে কংগ্রেস ৪০টি আসন নিজেদের কাছে রাখতে চাইছে বলে প্রস্তাব দিয়েছে৷ বাকি আসনগুলির মধ্যে তিন উপজাতিভিত্তিক আঞ্চলিক দলকে ১৫টি আসন এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে ৫টি আসন দেওয়ার বিষয়ে প্রস্তাব রাখা হয়েছে৷ তবে, উপজাতি আসনগুলিতে শক্তিশালি কেন্দ্রে আইএনপিটি, এনসিটি এবং আইপিএফটি তিপ্রাহা নিজেদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে বন্টন করবে৷
এদিনের বৈঠকে পাঁচ দলীয় জোটের নির্বাচনী ইস্তেহার নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷ নির্বাচনী ইস্তেহারে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে চিটফান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আমানতকারিদের আমানত ফিরিয়ে দেওয়া, এডিসিকে সরাসরি অর্থ প্রদানের ব্যবস্থা করা, বেকার ভাতা, কৃষি ঋণ মুকুব এই সমস্ত বিষয়গুলি৷