নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৫ জানুয়ারি৷৷ চাকুরীচ্যুত ১০৩২৩ শিক্ষকদের মধ্যে যারা এখন এডহক ভিত্তিতে শিক্ষকতা করছেন তাদের পুনঃনিয়োগের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর৷ এক্ষেত্রে আইন সংশোধন করে তাদের এককালিন ছাড় দেওয়া হতে পারে৷ পাশাপাশি, তাঁদের শিক্ষকতা যোগ্যতা সম্পন্ন হওয়ারও সুযোগ দেওয়া হতে পারে৷ শুক্রবার কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রীর সাথে বৈঠক শেষে একথা জানিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মণ৷
এদিন চাকুরীচ্যুত ১০৩২৩ জন শিক্ষকের প্রতিনিধি প্রদীপ বনিক এবং অরবিন্দ শর্মাকে নিয়ে ত্রিপুরায় বিজেপির নির্বাচন প্রভারী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, বিজেপি সাংসদ বিশ্বজিৎ দায়মারি এবং বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মণ কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রীর সাথে চাকুরীচ্যুতদের জীবন জীবীকা নিয়ে বৈঠক করেন৷ বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করানো হয়৷ আগামী ৩০ জুনের পর তাদের কর্মচ্যুতি হবে এই বিষয়টিও কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীকে জানানো হয়৷ তাতে, তাদের জীবন জীবীকা বড়ই দুর্বিসহ হয়ে উঠবে সেকথাও তুলে ধরেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা৷ চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের জীবন জীবীকা সুনিশ্চিতের প্রশ্ণে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান প্রতিনিধি দলের সদস্যরা৷ কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের প্রতি সাহনুভূতি প্রকাশ করে তাঁদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন৷
বৈঠক শেষে বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মণ টেলিফোনে জানিয়েছেন, সংসদে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর অফিসে তাঁদের বৈঠক হয়েছে৷ বৈঠকে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী বিস্তারিত অবগত হন৷ সেসময় বৈঠকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপস্থিত আধিকারিকদের পরামর্শ দেন শ্রী জাভরেকর৷ বিধায়ক শ্রী রায়বর্মণ বলেন, কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর সাথে আলোচনা সদর্থক হয়েছে৷ তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, বর্তমান আইনে কিছু সংশোধন এনে চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের পুনঃনিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে৷ এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সংশোধনীর অনুমতিক্রমে তা সংসদে পেশ করা হবে৷ সংসদে ঐ সংশোধনী পাশ হওয়ার পর তাঁদের পুনঃনিয়োগ করা হবে৷ এক্ষেত্রে এককালিন ছাড় দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হবে৷ বর্তমানে তাঁরা যে সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন সমস্তকিছুই পুনঃনিয়োগের ক্ষেত্রে বহাল রাখা হবে৷ পাশাপাশি চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের শিক্ষকতার যোগ্যতা সম্পন্ন হওয়ারও সুযোগ দেওয়া হবে৷
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে রাজ্যে কর্মরত ১০৩২৩ জন শিক্ষকের চাকুরী বাতিল হয়েছিল৷ ৩১ ডিসেম্বর তাঁরা চাকুরীচ্যুত হয়েছেন৷ তবে, রাজ্য সরকারের আবেদনে সুপ্রিমকোর্ট তাঁদের ৬ মাসের জন্য এডহক ভিত্তিতে নিয়োগের অনুমতি দিয়েছে৷ স্বাভাবিকভাবেই এই ৬ মাসের সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পর চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের জীবন জীবীকা সংশয়ের মুখে পড়বে৷ এই পরিস্থিতিতে আজ কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর তরফে চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের পুনঃনিয়োগ করা হতে পারে বলে আশ্বাস তাঁদের মধ্যে আশার আলো ফুটিয়েছে৷