রাজ্যে ১ কোটি ৪১ লক্ষ ভুয়ো রেশন কার্ড বাতিল

কলকাতা, ২৪ নভেম্বর (হি. স.): চলতি অর্থবর্ষে এ রাজ্যে ১ কোটি ৪১ লক্ষ ভুয়ো রেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে৷ শুক্রবার রাজ্য বিধানসভায় এ কথা জানান খাদ্য ও সরবরাহমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক৷ তিনি দাবি করেন, অসাধু পদ্ধতি অবলম্বন করে বা অনিয়মের দায়ে ৭৭১তি দোকান সিল করে দেওয়া হয়েছে৷ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে ৭২ জন ডিস্ট্রিবিউটরের লাইসেন্স৷
দক্ষিণ দিনাজপুর কুশমণ্ডির নর্মদা রায়ের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ দিন এই কথা জানান৷ তিনি বলেন, “ভুয়ো রেশন কার্ড চিহ্নিত করার জন্য প্রতিটি ব্লক/মহকুমায় বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা হয়েছে৷” বাঁকুড়ার বড়জোড়ার সিপিএম বিধায়ক সুজিত চক্রবর্তীর প্রশ্নের উত্তরে এ দিন জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, “২০১৭-র ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮ কোটি ৪২ লক্ষ ৭১ হাজার ডিজিটালাইজড রেশন কার্ড তৈরী হয়েছে৷ এর মধ্যে ৭৫ হাজার এখনও বন্টন হয়নি৷”
পুরাতন মালদার কংগ্রেস বিধায়ক ভূপেন্দ্রনাথ হালদারের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, “২০১৭-র ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে আরকেএসওয়াই-১ এবং আরকেএসওয়াই-২ রেশন কার্ড বিলি করা হয়েছে যথাক্রমে প্রায় ৯৫ লক্ষ ও ১ লক্ষ ৩৬ হাজারের মত.” এই দুই খাতে সরকারী ভর্তুকির পরিমাণ ১৫৪ কোটি টাকার উপর বলে মন্ত্রী জানান৷
এই দু’ধরণের রেশন কার্ড ছাড়াও ‘অন্ত্যোদয় অন্নপূর্ণা যোজনা (এএওয়াই)’ প্রকল্পে আছে ৫৩ লক্ষের ওপর পরিবার। ওই তালিকায় একদম গরিব যারা, তাঁদের নাম রাখা হয়েছে। সেখানে নাম থাকা পরিবার পিছু মাসে ৩৫ কেজি করে চাল ও গম দেওয়া হবে। এসপিএইচএইচ (বিশেষ অগ্রাধিকার তালিকাভুক্ত পরিবার) এবং পিএইচএইচ (অগ্রাধিকার তালিকাভুক্ত পরিবার) প্রকল্পে আছে যথাক্রমে ২ কোটি ও পৌনে তিন কোটির ওপর কার্ড৷ ওই দুই তালিকায় যাদের নাম রয়েছে সেই পরিবারের জন পিছু মাসে ৫ কেজি করে চাল এবং গম পাবে। বিশেষ তালিকাভূক্তরা চিনি পাবেন।
নদীয়ার নাকাশিপারার কল্লোল খাঁ-র প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, “বিভিন্ন সংবাদপত্র ও প্রচারমাধ্যমে গণবন্টন ব্যবস্থা সম্পর্কে গণচেতনা জাগানোর চেষ্টা হয়েছে৷”