বাড়তে চলেছে কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেসের ভাড়া

কলকাতা, ২২ নভেম্বর ( হি.স.): এক লাফে অনেকটা বাড়তে চলেছে মৈত্রী এক্সপ্রেসের ভাড়া। কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী ট্রেনের কেবিন ভাড়া এখন ২ হাজার ৩৮৬ টাকা । চেয়ার কোচের ভাড়া ১ হাজার ৬৩২ টাকা । এই ভাড়া বাড়ছে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ ।
কলকাতা-ঢাকা, ৫৩৮ কিলোমিটার রেলপথে ভ্যাট ও ট্রাভেল ট্যাক্স-সহ আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে প্রত্যেক কেবিন যাত্রীকে গুনতে হবে ৩ হাজার ৪০০ টাকা । এর মধ্যে কেবিন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৫২২ টাকা । সঙ্গে ৩৭৮ টাকা ভ্যাট ও ৫০০ টাকা ট্রাভেল ট্যাক্স ।
রেল সুত্রে জানা গেছে, এসি চেয়ার কোচের ভাড়া পড়বে আড়াই হাজার টাকা । এর মধ্যে ২৫২ টাকা ভ্যাট ও ৫০০ টাকা ট্রাভেল ট্যাক্স । দু’দেশের যাত্রীদের কাছ থেকে বাংলাদেশ সরকার ৫০০ টাকা ট্রাভেল ট্যাক্স ধার্য করলেও, ভারত এখনও কোনও ট্রাভেল ট্যাক্স আরোপ করেনি । ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ভাড়া বাড়ার একটি কারণ । তবে যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি দেখে বাংলাদেশ রেল মন্ত্রক ভাড়া বৃদ্ধিতে উৎসাহী হয়েছে বলেও কারও কারও মত । মৈত্রী থেকে বছরে বিপুল আয় করে লাভের মুখ দেখছে উভয় দেশের রেল । প্রতি দিনই যাত্রীর চাপ থাকে কমলাপুরে মৈত্রীর কাউন্টারে । যাত্রীদের টিকিট সংগ্রহের জন্য ভোর পাঁচটায় গিয়ে লাইনে দাঁড়াতে হয় । আবার সন্ধে ৭টায় যখন মৈত্রীর ই-টিকিট কাউন্টার বন্ধ হয়ে যায়, তখনও যাত্রীদের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় ।
কলকাতা ভ্রমণে মৈত্রী এখন আগের চেয়ে অনেক আরামদায়ক সার্ভিস । ঢাকা থেকে কলকাতা যেতে আগে রেলে ১১ ঘণ্টা সময় লাগত। এখন প্রান্তিক স্টেশন ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ও কলকাতার চিৎপুরে কাস্টমস-ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হওয়ায় সময় লাগছে সাকুল্যে ৮ ঘণ্টা । এত দিন ভারতের গেদে স্টেশন এবং বাংলাদেশের দর্শনা স্টেশনে যাত্রীদের, এমনকী রোগী বা বৃদ্ধদেরও, মালপত্র-সহ ট্রেন থেকে নেমে ইমিগ্রেশন-কাস্টমস পরীক্ষা করাতে হত । সেই বিড়ম্বনা দূর হয়েছে । প্রান্তিক স্টেশনে ইমিগ্রেশন-কাস্টমস সার্ভিস চালুর প্রথম দিনেই মৈত্রীর ৪৫৬টি আসনের সবগুলোই বিক্রি হয়ে যায় । বর্তমানে ঢাকা-কলকাতা রুটে সপ্তাহে চার দিন মৈত্রী এক্সপ্রেস চলাচল করে। প্রতি রবি, বুধ, শুক্র ও শনিবার ঢাকা থেকে কলকাতায় ছুটছে মৈত্রী । এখন দাবি উঠেছে প্রতি দিনই যেন মৈত্রী এক্সপ্রেস চলাচল করে ।