
বালুরঘাট, ৯ অক্টোবর (হি.স.): বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ উঠল সিপিএমের বহিষ্কৃত সাংসদ ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। গত ৪ অক্টোবর টুইটারে ঋতব্রতর সঙ্গে কিছু ঘনিষ্ট মুহুর্তের ছবি পোস্ট করেন বালুরঘাট খাদিমপুরের বাসিন্দা নম্রতা দত্ত নামে এক মহিলা। সে জানায়, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঋতব্রত তাঁর সঙ্গে একাধিকবার শারিরীক সম্পর্ক গড়েছে। বালুরঘাটে তাঁর বাড়িতে এসে তাঁর মাকেও বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সে। সেইমতো এ বছর ১৫ অক্টোবর দুজনের বিয়ের কথা ছিল। কিন্তু কয়েকদিন আগে সে ফোন করে জানায়, তার পক্ষে আর বিয়ে করা সম্ভব নয়। এমনকি তাঁর সঙ্গে সম্পর্কের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে চান তিনি। যার মধ্যে কয়েকদিন আগে তাঁর ব্যাঙ্ক একাউন্টে আড়াই লক্ষ টাকা অন লাইনের ট্রান্সফার করেছেন তিনি। নম্রতা জানায়, নেদারল্যান্ডে পড়ার সময়ে তাঁর টাকাতেই ঋতব্রত সেখানে গিয়েছিলেন। দুজনে সেখানে ছিলেন বেশ কয়েকদিন। সেই সময়েরও বেশ কিছু ছবি তুলে ধরেন নম্রতা। এমনকি সেখানে একটি দামী ঘড়ি ঋতব্রতকে উপহার দিয়েছিলেন নম্রতা বলে জানায়। নম্রতা টাকা নয়, বিয়ের দাবিতে অনড়। সে জানায়, গোটা বিষয়টি ছবি সহ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী সহ জেলা পুলিশ সুপার ও পুলিশের সর্বোচ্চ আধিকারিকদের জানানো হয়েছে। বালুরঘাট থানায় ঋতব্রতর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে গেলে থানার তরফে তা নিতে অস্বীকার করে দিল্লিতে তা দায়ের করার পরামর্শ দেওয়া হয় বলে তিনি জানান। সে জানায়, যেহুতু দিল্লিতে ঋতব্রত-র সাউথ এভিনিউ এর আবাসে একাধিকবার সে গিয়েছে। সেখানে দুজনের মধ্যে প্রায় ১৯ বার শারিরীক সম্পর্ক হয়েছিল। নম্রতার অভিযোগ, কলকাতার বাসিন্দা ঋতব্রতর এক বান্ধবী দুর্বা সেন নামে এক মহিলা তাঁকে মাঝে মাঝেই ফোন করে হুমকি দিচ্ছে। ফলে আতঙ্কে রয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ ও ঋতব্রতর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

