ঢাকা, ১৮ সেপ্টেম্বর(হি.স.): বাংলাদেশের বাজারে চালের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। এজন্যে দায়ী আড়তদার ও মজুতদাররা। এই অভিযোগ খাদ্যমন্ত্রী কামরুল হাসানের। খাদ্যমন্ত্রী আড়তদার ও মজুতদারদেরল বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, চাল নিয়ে চালবাজি বন্ধ করুন, ভালো হয়ে যান।
খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ এই দাবি করে মন্ত্রী আরও বলেন, খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। চালের দাম বাড়ার কোনও কারণ নেই। চালের দাম নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। আড়তদার ও মজুতদাররা কারসাজি করে দাম বাড়াচ্ছেন। চালের দাম অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী।
কামরুল জানান, বর্তমানে দেশে এক কোটি মেট্রিক টনের ওপরে খাদ্য মজুদ আছে। এই চাল কৃষকদের ঘরে আছে, আড়তদার ও মজুতদারদের হাতে আছে। শিগগিরই আমাদের আরও আড়াই লাখ মেট্রিক টন চাল আসছে। এছাড়া সরকারি খাদ্যগুদামগুলোতে যথেষ্ট পরিমাণে খাদ্য মজুদ আছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, একটি মহল চাল নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে, সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্র করছে। তা না হলে কেন এক কোটি মেট্রিক টন চাল থাকার পরও চালের দাম এত বেশি থাকবে।
রোহিঙ্গা সংকটের মধ্যেই চাল আনতে মায়ানমারে যাওয়ার ঘটনার সমালোচনার বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মায়ানমার গিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাণিজ্য এবং কূটনীতি এক জিনিস নয়। আমরা আশা করছি, তাদের কাছ থেকে ২ লাখ মেট্রিক টন চাল পাব। ভিয়েতনাম থেকে চাল আসতে সময় লাগে ১৫-২০ দিন। মায়ানমার থেকে চাল আসতে সময় লাগে ২ দিন। খাদ্যমন্ত্রী আরও জানান, আজ রবিবার থেকে রাজধানী ঢাকাসহ সব বিভাগীয় শহরে খোলা বাজারে চাল বিক্রি শুরু হবে। চাল কেজি প্রতি ১৫ টাকা ৩ও আটা ১৭ টাকা দরে বিক্রি হবে।
2017-09-18