নয়াদিল্লি, ১১ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : শিকাগো বিশ্বধর্ম সম্মেলনে স্বামী বিবেকানন্দের বক্তৃতা ১২৫ বছর পূর্তি ও দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে নয়াদিল্লিতে ছাত্রছাত্রীদের এক কভেনশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফের একবার স্বচ্ছতার পক্ষে জোরালো সওয়াল করলেন। তিনি বলেন, আগে শৌচাগার পরে দেবালয়।
স্বচ্ছতা বিষয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেন, যে সাফাই কর্মীদের উপরেই এক জন মানুষের ভাল থাকা নির্ভর করে। তিনি জানান ব্যায়বহুল ডাক্তার থেকে একজন সাফাই কর্মী আমাদের জীবন আরও বেশি দরকার। তিনি প্রশ্ন করেন, আমদের কি কোন অধিকার আছে গঙ্গাকে দূষিত করে তাতে স্নান করার। তিনি বলেন, আমাদের কি কোন অধিকার আছে যে দেশ ও সমাজকে অস্বচ্ছ করে মুখে বন্দেমাতরম বলার। ছাত্র রাজনীতি ও সচ্ছ ভারত প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে কোন ছাত্র সংগঠন ছাত্র সংসদ নির্বাচনের সময় সচ্ছতাকে তাদের প্রধান নির্বাচনী ইস্যু করেন না।
শিকাগো বিশ্বধর্ম সম্মেলনে স্বামী বিবেকানন্দের বক্তৃতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, স্বামীজী ‘এক এশিয়া’ কথা বলেছিলেন। তিনি বলেন ২১ শতক এশিয়বাসীদের জাগরণ ঘটবে। বিশ্ব মঞ্চে চিন ও ভারত আরও বেশি অগ্রণী ভূমিকা করবে। স্বামী বিবেকানন্দ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান যে শিকাগোতে স্বামীজি যখনই আমেরিকার ভাই ও বোনেরা বলেছিলেন তখন তিনি ভারতের প্রকৃত পরিচয় ব্যক্ত করেছিলেন। আর অনেকক্ষণ পর্যন্ত টার সেই বক্তব্যে হাততালির দেওয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন যে স্বামীজী গোটা ভারতকে পরিক্রমা করেছিলেন। তিনি গোটা ভারতকে নিজের হৃদয়ে আত্মস্থ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন যে স্বামীজী শুধুমাত্র ধারণা দিয়ে থেমে থাকেননি। তিনি তার আদর্শবাদ দিয়ে একটি সংগঠন গঠন গড়ে তোলেন। যার নাম তিনি দেন রামকৃষ্ণ মিশন। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে স্বামীজী কিন্তু সংগঠনের নাম বিবেকানন্দ মিশন করেননি। এখানেই স্বামীজির মহানুভবতা। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন যে সেই সংগঠন ১২০ বছর ধরে সেই আন্দোলনের জারি রেখেছে। তিনি বলেন যে ভারতের ৬৫ শতাংশ নাগরিক যুবা তাই ভারতের আদর্শ স্বামীজী হওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রী মোদী রবীন্দ্রনাথের নোবেল প্রাপ্তি ও বিবেকান্দের শিকাগোয় সাফল্য দেশকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল।
স্বামীজীর মতাদর্শ ব্যক্ত করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে আমরা দুইজন স্বাজীকে দেখতে পাই। একজন স্বামীজী যিনি বিদেশে গিয়ে ভারতের ঐতিহ্য ও পরম্পরার প্রচার করেছিলেন। পাশাপাশি আর এক স্বামীজীকে আমরা দেখতে পাই যিনি দেশের মধ্যে থাকা অন্ধবিশ্বাস, অসাম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মোদী স্বামীজী শিবজ্ঞান জীবে সেবার আদর্শকে কুর্নিশ জানান। এই সম্মেলনে ওয়ান ইন্ডিয়া, ইয়ং ইন্ডিয়া স্লোগান দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান যে স্বামীজী শিকাগো ভাষণ ৯/১১ তে দিয়েছিলেন। সেটা ছিল বিশ্ব সৌভ্রাতৃত্ববোধ বৃদ্ধি প্রতিক।কিন্তু এই শতাব্দীর শুরুতে আর এক ৯/১১ যা বিশ্বকে হিংসার দিকে ঠেলে দিয়েছে।
2017-09-11