নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ৪ সেপ্ঢেম্বর৷৷ সোমবার সকাল ৯৪৫ মিনিটে অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল আগরতলাগামী লোক্যাল

ট্রেন৷ চালকের তৎপরতায় প্রায় তিন শতাধিক যাত্রী প্রাণে বাঁচলো৷ ঘটনাটি ঘটে বিশ্রামগঞ্জ স্টেশন থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে এসপি অফিসের পেছনের রাবার বাগান সংলগ্ণ এলাকায়৷ ঘটনার বিবরণে জানা গেছে উদয়পুর স্টেশন থেকে লোকাল ট্রেনটি আগরতলার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়৷ ঠিক বিশ্রামগঞ্জ স্টেশন থেকে যাওয়ার পথে ঘটে বিপত্তি৷ এস পি অফিস সংলগ্ণ স্থানে পৌঁছার পূর্বেই চালকের সর্তকতায় বলতে পারে রেল লাইনে ট্রেক সরে রয়েছে৷ উপস্থিতবুদ্ধি দিয়ে চালক সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনটির গতি শ্লথ করে দেয় এবং মাঝ রাস্তায় ট্রেনটি থামিয়ে দেন৷ রেলের ট্রেক খোলা ছিল৷ ঘটনাস্থলে এসে চালক এবং যাত্রীরা উপলব্ধি করে যে রেলের ট্রেকের জোড়া, বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে৷ যদিও ট্রেনটি যদি চলন্ত অবস্থায় থাকতো তাহলে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা নিশ্চিত ছিল৷ সঙ্গে সঙ্গে খবর পৌঁছে বিশ্রামগঞ্জ রেল স্টেশনে৷ মুহুর্তের মধ্যে জড়ো হয়ে যায় শত শত মানুষ৷ কারা কিভাবে এবং কেনই বা এমন নাশকতায় ছক করল তা বুঝে উঠতে পারেনি সাধারণ জনগন৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একদিকে চলছে রাজনৈতিক দোষারোপের পালা অন্যদিকে চলছে নানান প্রশ্ণ৷ অনেকের অভিযোগ যেভাবে ট্রেকের নাট বোল্ট খুলা হয়েছে তা সাধাবণ মানুষের পক্ষে খুবই কঠিন বিষয়৷ আর অন্য দিকে চালকই বা হঠাৎ কিভাবে বুঝতে পাবলেন সামনের ট্রেকটি খোলা৷ ঘটনায় প্রায় ৪৫ মিনিটের মধ্যে রেল ট্রেক স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসে রেল দপ্তরের কর্মীরা৷ শুনা যাচ্ছে শাসকদল এই নাশকতার জন্য বিজেপিকে দোষারোপ করছে৷ অন্যদিকে বিজেপি পাল্টা শাসক দলকে দোষারোপ করছে৷ এবার প্রশ্ণ যেখানে এই ঘটনাটি ঘটে তা সাধারণ মানুষের পক্ষে খুবই দুস্কর ব্যাপার৷ কাবণ ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে রয়েছে এসপি অফিস৷ তাছাড়া রেল রাস্তার উপর রেল চলাকালীন সময়ে দীর্ঘদিন যাবৎ কে বা কারা ঢিল ছুড়ে এলোপাথারী৷ এতে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নিত্য দিন৷ এলাকাবাসীর প্রশ্ণ এমন ঘটনায় রেল পুলিশকে জানিয়েও কোন রকম ব্যবস্থা নিচ্ছে না৷ তবে এই ঘটনায় রেল যাত্রীরা আতঙ্কের মধ্যে পড়েছেন৷ প্রসঙ্গত, সামনেই রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন৷ এর আগে নানা ধরণের অঘটন ঘটিয়ে রাজ্যের পরিস্থিতি অশান্ত করে তোলার চেষ্টা হবে বলে ধারণা তথ্যাভিজ্ঞ মহলের৷ তাই এই লাইনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করার দাবী তুলেছেন নিত্য যাত্রী সাধারণ৷

