বৌমাকে ধর্ষণের অভিযোগ শ্বশুরের বিরুদ্ধে, এলাকায় উত্তেজনা

সোনারপুর, ৩ সেপ্টেম্বর(হি.স.)ঃ বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ালো এলাকায়। অভিযুক্তের গ্রেফতারের দাবীতে রবিবার সকালে এলাকায় বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার সোনারপুর থানার রানাভুতিয়া ২ নম্বর গ্রামে। শুক্রবার সকালে স্থানীয় এক ব্যক্তি বছর পঞ্চান্নর সুখরঞ্জন হাওলাদার বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে সম্পর্কে নিজের এক বৌমাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর তার যৌনাঙ্গে হাত ঢুকিয়ে দেওয়ার ও অভিযোগ রয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গুরুতর জখম ঐ মহিলা বর্তমানে কলকাতার এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্যদিকে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাতেই অভিযুক্ত সুখরঞ্জনকে গ্রেফতার করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ।

অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার মহিলাদের সাথে খারাপ আচরন করতো এই অভিযুক্ত সুখরঞ্জন হাওলাদার। এর আগে ও গ্রামের একাধিক মহিলার শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছিলো এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। কিন্তু এলাকার তৃণমূল নেতা তথা খেয়াদহ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান প্রবীর সরকারের অনুগামী হওয়ার কারনে এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাননি এলাকার মানুষজন। কিন্তু গত শুক্রবার নিজের খুড়তুতো বৌমার সাথে এই ধরনের অশালীন ব্যবহারের পর ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরব হন এলাকার মানুষজন। নির্যাতিতা মহিলার স্বামী এ বিষয়ে ঐ উপপ্রধান সহ এলাকার অন্যন্য নেতাদের এ বিষয়ে জানালে তারা বিষয়টি চেপে যেতে বলেন। আর এতেই ক্ষেপে ওঠেন এলাকার মানুষজন। শনিবার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে আক্রান্ত মহিলার স্বামী ও এলাকার সাধারণ মানুষজন মিলে সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্তকে। অন্যদিকে এই অভিযোগ করার পর থেকেই গ্রামবাসীদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিতে থাকে প্রবীর দাস ও তার অনুগামীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার সকালে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মানুষজন। দোষীর উপজুক্ত শাস্তির দাবীতে সরব হন তারা। গ্রামের মাঝে সরব হয়ে বিক্ষোভ ও দেখান তারা। অন্যদিকে গ্রামের আরেক প্রান্তে লোক জড় করার অভিযোগ ওঠে প্রবীর সরকারের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে সোনারপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।