ঢাকা, ১ সেপ্টেম্বর (হি.স): বাংলাদেশে মায়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। সূত্রের খবর, এদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। গত এক সপ্তাহে রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। জানা গিয়েছে, এই সংখ্যাটা ২৭ হাজারের কাছাকাছি।
এব্যাপারে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার ওই রিপোর্ট অনুসারে, রোহিঙ্গা মুসলমানরা মায়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে। মায়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমান অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে সেনা অভিযানের কারণেই তাঁরা ভিটেমাটি থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
তবে কত সংখ্যক রোহিঙ্গা মুসলমান গত একসপ্তাহে শরণার্থী হিসাবে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, সেব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার এখনও কোনও তথ্য পেশ করেনি। তবে দুই দেশের মধ্যে নো-ম্যানস ল্যান্ডে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান আটকে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।এর জেরে সীমান্তে কড়াকড়ি করেছে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশ সরকার সূত্রের খবর, সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে প্রবাহিত নাফ নদী থেকে ২০টি মৃতদেহ সম্প্রতি ফের উদ্ধার করা হয়েছে। এদের বেশিরভাগই শিশু।
জানা গিয়েছে, রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা সম্প্রতি সেনা চৌকিগুলিতে হামলা চালানোর পরে পাল্টা সেনা অভিযান শুরু হয়েছে মায়ানমারে। এর জেরে পরিস্থিতি জটিল হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে ৩০টি সেনা চৌকির ওপর হামলা চালিয়েছে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা। ইউনিসেফ জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহ ধরে যে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁদের জন্যে কক্সবাজারে ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। ইউনিসেফের খোলা ওই ত্রাণশিবিরে আশ্রিতদের মধ্যে ৮০ শতাংশই নারী ও শিশু বলে জানা গিয়েছে।
2017-09-01