নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ ডিসেম্বর৷৷ ছিল মোটে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা৷ এখন তা বেড়ে হয়েছে অর্ধলক্ষাধিক টাকা৷ আরো অবাক করার বিষয় হল অ্যাকাউন্টধারীর অজ্ঞাতসারেই ব্যাঙ্কে গত ছয়মাসে তার অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছে ছয়লক্ষাধিক টাকা৷ এনিয়ে বুধবার বাধারঘাট গ্রামীণ ব্যাঙ্কে রীতিমত হুলুস্থূল কান্ড বেঁধে যায়৷ জানা গেছে, গ্রামীণ ব্যাঙ্কের গ্রাহক রীতা দেবনাথ এদিন টাকা তুলতে গিয়ে পাসবই আপডেট করে দেখেন তার অ্যাকাউন্টে ৫৩ হাজার টাকা রয়েছে৷ তা দেখে রীতিমত হতবাক হয়ে পড়েন তিনি৷ সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করেন শাখা প্রবন্ধকের সাথে৷ বিষয়টি তাকে জানানো হলে ঐ মহিলার একাউন্ট গেঁটে দেখা যায় গত ছয় মাসে কখনো ২০ হাজার কিংবা ৫০ হাজার কিংবা ৩০ হাজার, এমনকি ১ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে৷ শ্রীমতি দেবনাথ শাখা প্রবন্ধককে জানান তিনি তার অ্যাকাউন্টে স্বল্প পরিমাণে সঞ্চয় করেন৷ সেই সঞ্চিত অর্থ কখনো তিনি নিজে আবার কখনো তার ছেলে এসে তুলে নিয়ে যায়৷ ফলে, তার অ্যাকাউন্টে খুব বেশি হলে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকার অধিক অর্থ থাকার কথা নয়৷ ধারণা করা হচ্ছে, ঐ মহিলার সই জাল করে লেনদেন হয়েছে৷ কারণ, তিনি দাবি করেছেন তার পক্ষে এত টাকা লেনদেন কোনভাবেই সম্ভব নয়৷ ঘটনাটি জানাজানি হতেই বাধারঘাট গ্রামীণ ব্যাঙ্কে উপস্থিত অন্যান্য গ্রাহকরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন৷ নিজেদের অজ্ঞাতসারে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্টে কি ধরনের খেলা হচ্ছে সেটাই জানতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন অনেকেই৷
গত ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নোট বাতিলের পদক্ষেপের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে বেআইনী লেনদেন হয়েছে৷ অনেক ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক আধিকারিকরাও বেআইনী লেনদেন করতে ধরা পড়েছেন৷ তাই সম্প্রতি আরবিআই নির্দেশিকা জারি করেছে দেশের সবকটি ব্যাঙ্কের প্রতিটি ব্রাঞ্চে সিসি টিভি থাকতেই হবে৷ বাধারঘাট গ্রামীণ ব্যাঙ্কে সিসি টিভির ব্যবস্থা নেই৷ ফলে, গত ছয় মাসে কে ঐ মহিলার নাম ভাঙ্গিয়ে একাউন্ট ব্যবহার করেছে সেটা খুব সহজে বের করা সম্ভব নয়৷
2016-12-15