নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ১০ ডিসেম্বর৷৷ রাবার বাগান করার জন্য সরকারী সাহায্য নিয়ে গাঁজা বাগিচা৷ রেগা প্রকল্পের

মাধ্যমে জমি প্রস্তুত করে দেওয়া হয়েছিল রাবার বাগান করার জন্য৷ কিন্তু, সেই জমিতে চাষ করা হচ্ছে গাঁজা৷ আর এই ব্যাপারে পঞ্চায়েত তথা এডিসির ভিলেজ কমিটির সদস্যরাও অবগত রয়েছে৷ শাসক দলের নেতা হওয়ার দরুন নির্দ্বিধায় চাষ করা হচ্ছে গাঁজা৷
বিশ্রামগঞ্জের সুতারমুড়া এডিসি ভিলেজে এই দৃশ্য নজরে এসেছে৷ সাতমুড়া বাজার থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দক্ষিণে বিস্তীর্ণ এলাকায় চাষ করা হচ্ছে গাঁজা৷ চারদিকে শুধু সবুজ৷ উপজাতি অধ্যুষিত ঐ এলাকার এক যুবক জানায় অন্তত আশি হেক্টর জমিতে গাঁজা গাছ লাগানো হয়েছে৷ রাবার বাগানের নাম করে সরকারী অর্থে এই গাঁজা বাগিচা করা হয়েছে৷ জানা গিয়েছে, সুতারমুড়া এলাকার অধিকাংশ গাঁজা বাগিচার মালিক বিশালগর, বক্সনগর এবং আগরতলার৷ দিনের পর দিন মূল্যবান বনজ সম্পদ ধবংস করে টাকার লোভ দেখিয়ে যুবকদের গাঁজা চাষে উৎসাহিত করছে ঐ গাঁজা মাফিয়ারা৷ সুতারমুড়া, পাগলিপিসা, রাঙাপানিয়া প্রভৃতি টিলাভূমিতে অন্তত কুড়ি লক্ষ গাঁজা গাছ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ রেগা প্রকল্পের মাধ্যমে জমি প্রস্তুত করে দেওয়া হচ্ছে রাবার বাগান করার জন্য৷ কিন্তু, ঐ রাবার বাগানের কোন হদিশ নেই৷ চোখে আসে শুধুই গাঁজা বাগিচা৷
এদিকে, খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, এই গাঁজা চাষের সাথে শাসক দলের একটি প্রভাবশালী চক্র প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত রয়েছে৷ শাসক দলের নেতারা গাঁজা চাষীদের কাছ থেকে প্রচুর টাকা নিচ্ছেন৷ সহজ সরল চাষীদের নামে অন্য প্রকল্পের নাম করে সরকারী টাকা পঞ্চায়েতের মাধ্যমে পকেটে পুড়ছেন৷ সুতারমুড়া এলাকার বাসিন্দা দিনেশ দেববর্মার এক একর জমিতে রাবার বাগান করার জন্য ১ লক্ষ ৫৪ হাজার ৪২০ টাকা বরাদ্দ হয়৷ সেই মোতাবেক কাজ শুরু হয়৷ জমিও প্রস্তুত করে দেওয়া হয়৷ এই কাজের ইম্পিমেন্টিং অফিসার হিসেবে নিযুক্ত করা হয় বিনয় দেববর্মাকে৷ শ্রীদেববর্মা টিটিএডিসির বিশ্রামগঞ্জ এসজেডিও এর অধীনে কর্মরত৷ শুধুমাত্র সুতারমুড়া এলাকাতেই নয়৷ আশেপাশের অন্যান্য এলাকাতেও একই কায়দায় গাঁজা বাগিচা করা হয়েছে রাবার বাগানের নামে বরাদ্দ টাকায়৷ এইসব বিষয়ে টিটিএডিসির কর্মকর্তারা অবহিত থাকলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না৷ তবে এই বেআইনী গাঁজা চাষীদের মাথায় বাজ পড়ছে বিশালগড় মহকুমা প্রশাসনের তরফ থেকে নিয়মিত অভিযানে৷ প্রশাসনের এক আধিকারীক জানিয়েছেন পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে নিয়মিত গাঁজা বিরোধী অভিযান চালানো হচ্ছে৷ তা অব্যাহত থাকবে৷