এনকাউন্টারে খতম জেল থেকে পালানো ৮ সিমি জঙ্গি

encounterভোপাল, ৩১ অক্টোবর (হি.স.): জেলরক্ষীকে খুন করে, জেল ভেঙে পালানোর দুঃসাহসিক চেষ্টা ভেস্তে গেল| এনকাউন্টারে মৃতু্য হল ভোপাল সেন্ট্রাল জেল থেকে পালানো ৮ সিমি জঙ্গির| প্রশাসন জানিয়েছে, ভোপালের উপকণ্ঠে এইনথখেড়ি গ্রামে পুলিশের গুলিতে মৃতু্য হয়েছে ৮ সিমি জঙ্গির| মৃত ৮ সিমি জঙ্গির নাম আব্দুল মাজিদ (মহারাষ্ট্রের শোলাপুরের নিবাসী), মহম্মদ খালিদ আহমেদ (মহারাষ্ট্রের শোলাপুর জেলার বিজয়নগরে ৪৬০ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা), মুজিব শেখ (গুজরাটের আহমেদাবাদের গুহাপুরার এ ২৮ জাকির পার্ক গুহাপুরার বাসিন্দা), জাকির হুসেন সাদিক (মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়া নিবাসী), মেহৱুব গুড্ডু (মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়া), আমজাদ (মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়া), মহম্মদ সলিক ওরফে সল্লু (মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়া) এবং মহম্মদ আকিল খিলজি (মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়া)|
জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবার ভোররাত ২টো থেকে ৩টের মধ্যে কারারক্ষী রমাশঙ্কর যাদবকে গলা কেটে খুন করে, ভোপাল সেন্ট্রাল জেল থেকে পালায় নিষিদ্ধ সংগঠন স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া বা সিমির ৮ জঙ্গি| এই ৮ পলাতক জঙ্গির খোঁজে রবিবার রাত থেকেই ভোপাল ও তার আশেপাশের এলাকা জুড়ে ব্যপক তল্লাশি অভিযান চালানো হয়| ভোপালে গিয়ে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিল্লির অ্যান্টি টেরর উইং এবং স্পেশাল সেল| জঙ্গিরা যাতে শহর ছেড়ে পালাতে না পারে তাই সমস্ত রাস্তা গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়| প্রতিটি রাস্তার মোরে মোরে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মী| শেষ পর‌্যন্ত এইনথখেড়ি গ্রামে এই ৮ জনের খোঁজ পায় পুলিশ| সেখানেই পুলিশের গুলিতে খতম হয় ৮ পলাতক সিমি জঙ্গি|
১৯৭৭ সালে আলিগড়ে প্রতিষ্ঠা স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া বা সিমির| পরে এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়| তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও ভোপালে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে| ২০১৩ সালেও দুই কারারক্ষীকে ছুরি দিয়ে খুন করে খান্দোয়া জেলা জেল থেকে পালায় ৭ জন সিমি জঙ্গি|

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *