নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ অক্টোবর৷৷ সরকার রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নের জন্য দেদার অর্থ খরচ করলেও বাস্তবে গ্রামীণ এলাকার মানুষ যে উন্নয়নের সুফল সঠিকভাবে গ্রহণ করতে পারছে না তা গ্রাম পাহাড়ে পা রাখলে সহজে প্রত্যক্ষ করা যায়৷ একাংশ সরকারি কর্মচারী ও ভিলেজ কমিটির নির্বাচিত সদস্যদের যোগসাজশে উন্নয়নের নামে শুধু সরকারি অর্থের লুটপাট চলছে৷ এবার রাস্তা নির্মাণে অত্যন্ত নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ উঠল অমরপুর ব্লকের জনৈক বাস্তুকারের বিরুদ্ধে৷
উত্তর চেলাগাঙ এডিসি ভিলেজের সুখাই দাস পাড়ায় একটি ব্রিক সলিং রাস্তা নির্মাণের জন্য অমরপুর ব্লকের রেগা প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ করা হয়৷ ব্লকের জনৈক বাস্তুকারের তত্ত্বাবধানে যথারীতি কাজটি শুরু হয়৷ কিন্তু রাস্তা তৈরিতে ব্যবহৃত ইট গুলি অত্যন্ত নিম্নমানের বলে এলাকাবাসীদের অভিযোগ৷ কাজের শুরুতে গাড়ি থেকে নামানোর সময়ই অর্ধেক ইট ভেঙ্গে যায়৷ তখন এলাকাবাসীরা নিম্নমানের ইট গুলি দিয়ে রাস্তার নির্মাণ কাজ না করতে বলেন৷ এলাকাবাসীদের বাঁধাদানকে উপেক্ষা করে ওই নিম্নমানের ইট দিয়েই রাস্তার কাজ সুরু করে দেন জনৈক ওই বাস্তুকার৷ রাস্তার কাজে ব্যবহৃত ইটগুলি এতটাই নিম্নমানের যে সামান্য পা দিয়ে চাপা দিলে ইট দুই টুকরো হয়ে যাচ্ছে৷ একটি ইট হাতে নিয়ে উপর থেকে নীচে ফেললেই কয়েক টুকরো হয়ে যাচ্ছে৷ সাধারণ ভাবেই প্রশ্ণ উঠছে এই ধরনের ইট দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হলে রাস্তার স্থায়ীত্ব কতদিনের হবে? কিন্তু অবাক করার বিষয় হল রাস্তা নির্মাণে যে অত্যন্ত নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে তা সকলে খালি চোখে দেখতে পেলেও উত্তর চেলাগাঙ ভিলেজের ভাইস চেয়ারম্যান সুকুমার দাসের মতে রাস্তার নির্মাণ কাজ ভালই হচ্ছে৷ ভাইস চেয়ারম্যানের এ ধরনের মন্তব্য যে ভিলেজ এলাকায় চলা ব্যাপকহারে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷ সুতরাং রাস্তা নির্মাণে দুর্নীতি বন্দে এলাকাবাসীরা ব্লক প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করছে৷
2016-10-31

