নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ আগস্ট৷৷ ২৩/৮ এর ঘটনার পর আতঙ্কে অনেক জনজাতি অংশের লোকজন আগরতলা শহর ছেড়ে চলে গেছেন৷ এর মধ্যে বিভিন্ন পেশার লোকজন ছাড়াও অধিকাংশই রয়েছেন ছাত্রছাত্রী৷ এই জনজাতি অংশের লোকজনদের অবিলম্বে শহরে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাল আইএনপিটি, এনসিটি এবং টিপিএফ দল৷ শুধু তাই নয়, এইক্ষেত্রে প্রশাসনকে ৪৮ ঘন্টার সময়সীমাও বেধে দিলেন এই তিন দলের নেতৃত্ব৷ একই সঙ্গে মঙ্গলবারের ঘটনার সিবিআই তদন্তেরও দাবী জানিয়েছে এই তিনটি দলের নেতৃবৃন্দ৷
এদিন আগরতলা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে আইএনপিটি, এনসিটি এবং টিপিএফ দলের পক্ষে পাতালকন্যা জমাতিয়া জানান, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই দাবি মানা না হলে এই বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলন সংগঠিত করা হবে৷
অন্যদিকে, আইএনপিটির সভাপতি বিজয় রাঙ্খল এদিন, সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করেন মঙ্গলবার রাজধানী আগরতলা শহরে যে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে তার জন্য দায়ী রাজ্য সরকার৷ ঐদিন, পুলিশ প্রশাসন ছিল সম্পূর্ণ নিষ্ক্রীয়৷ পুলিশের চোখের সামনেই এসব হয়েছে৷ তিনি ঐদিনের ঘটনার জন্য গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এই ধরনের ঘটনা অনভিপ্রেত৷ তা জাতী উপজাতি উভয় অংশের জনগণের জন্য বিপজ্জনক৷ রাজ্য সরকার মিছিলের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ ছিল সেদিন৷ এদিকে, আইএনপিটির সাধারণ সম্পাদক জগদীশ দেববর্মা অভিযোগ করেন রাজ্য সরকার ঐ ঘটনার পর উপজাতি অংশের জনগণকে অভয় দিতে ব্যর্থ৷ পুলিশের গাড়িতে করে কিংবা এসকর্ট করে আগরতলা, উদয়পুর সহ বিভিন্ন শহর থেকে উপজাতি অংশের জনগণ যারা কর্মসূত্রে বা পড়াশোনার জন্য অবস্থান করছেন তাদের বাড়ি ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে৷ এথেকেই প্রমাণিত হয়েছে রাজ্য সরকার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ৷ পাশাপশি শ্রীদেববর্মা এও আশঙ্কা করেছেন এই ধরনের উদ্যোগের পেছনে রাজ্য সরকারের কোন বদ উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা৷ এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে এনসিটি নেতা অনিমেশ দেববর্মা মঙ্গলবারের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন৷ পাশাপাশি তিনি রাজ্যের সমস্ত অংশের জনগণকে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন৷
2016-08-27