BRAKING NEWS

পুর পরিষদের কাজকর্মের প্রতিবাদ করায় সিপিএম ক্যাডারদের হামলা, স্বামী ও সন্তানদের সামনে মহিলাকে অর্দ্ধনগ্ণ করে মারধর, হেনস্থার শিকার সাংবাদিকরাও

attackবিশেষ প্রতিনিধি, ধর্মনগর, ১৩ আগষ্ট৷৷ প্রকাশ্যে এক মহিলাকে নিগ্রহ করা হয়েছে৷ পাশাপাশি ঐ মহিলার স্বামী ও সন্তানদের মারধর করা হয়েছে৷ হামলাকারীরা প্রত্যেকেই শাসক দল সিপিএমের সক্রিয় কর্মী৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধর্মনগর ময়লাখলা এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে৷ এদিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদেরও হেনস্থা করতে কসুর করেনি সিপিএমের ক্যাডার বাহিনী৷ সাংবাদিকদের ক্যামেরা ছিনতাই করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে৷ এই ব্যাপারে ধর্মনগর থানায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে৷
সংবাদে প্রকাশ, ধর্মনগর পুর পরিষদের তরফ থেকে প্রতিদিন পুর এলাকার বর্জ আবর্জনা ময়লাখলা এলাকায় ফেলা হয়৷ সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিকভাবে তৈরী এই ময়লাখলায় বর্জ আবর্জনা ফেলার দরুন এলাকার পরিষেব বিষিয়ে উঠছে৷ এই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছিল দীর্ঘদিন ধরেই৷ শনিবার দুপুরে স্থানীয় মহিলা রিনা বেগম পুর পরিষদের বর্জ পরিবহণকারী গাড়ির চালক সহ অন্যান্য কর্মীদের ডেকে বলেন যাতে এখানে বর্জ আবর্জনা ফেলা না হয়৷ মহিলার এই প্রতিবাদী কন্ঠাকে রুদ্ধ করার জন্য ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ২০-২৫ জন সিপিএম ক্যাডার৷ তারা ঐ মহিলাকে মারধর করে৷ মহিলাকে অর্দ্ধনগ্ণ করে ফেলে৷ ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছেন ধর্মনগরে কর্মরত সাংবাদিকরা৷ সেখানে পৌঁছলে সাংবাদিকদের উপরও হামলা চালায় সিপিএমের ক্যাডার বাহিনী৷ সাংবাদিকদের কাছ থেকে দুটি ভিডিও ক্যামেরা, সোনার চেইন ও নগদ টাকা ছিনতাই করা হয়৷ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়৷ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সাংবাদিকরা সেখানে পথ অবরোধ করেন৷
সিপিএম ক্যাডারদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন রিনা বেগম৷ তার স্বামী ইউসুফ মিয়া, দুই পুত্র রাজন মিয়া ও রঞ্জন মিয়াও ক্যাডারদের মারধরে আহত হয়েছেন৷ এদিন ক্যাডার হামলার নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপ প্রধান দুলাল মিয়া, সুব্রত শুক্লবৈদ্য, ফারুক মিয়া, বিল্লাল উদ্দিন৷ তাদের নেতৃত্বে ক্যাডাররা হামলা চালিয়েছে৷ ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে ধর্মনগর থানার পুলিশ৷ এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বিশাল সংখ্যায় টিএসআর বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে৷ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ধর্মনগর থানায় সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা করা হয়েছে৷ জেলার পুলিশ সুপার মানিক দাস জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের এখনও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি৷ তবে খুব শীঘ্রই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে৷ এদিকে, প্রকাশ্যে এক মহিলা ও তার স্বামী সহ সন্তানদের প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *