নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ১৩ আগস্ট৷৷ বহিঃরাজ্যের এক যুবতীকে প্রতারণা করে নিয়ে এসে গণধর্ষণ করেছে রাজ্যের তিন যুবক৷ পুলিশ ঐ যুবতীকে উদ্ধার করেছে বিশ্রামগঞ্জের ছেচরীমাইল মহাদেব মন্দির সংলগ্ণ এলাকা থেকে৷ ঐ যুবতীর বাড়ি আসামের তুরা এলাকায়৷ সংবাদে প্রকাশ, শুক্রবার সকালে আসামের তুলা অঞ্চল থেকে ঐ যুবতীকে আগরতলায় নিয়ে আসে রাহুল দাস নামে এক যুবক৷ রাহুল আগরতলার একটি বেসরকারী পরিবহণ সংস্থার বাসের মালিক বলে পরিচয় দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে৷ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঐ যুবতীকে আগরতলায় নিয়ে আসে৷ রাহুল ও তার দুই বন্ধু মিলে ঐ যুবতীকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ৷ তারপর রাতে তাকে বিশ্রমগঞ্জের শিব মন্দির এলাকায় ফেলে দিয়ে চম্পট দেয়৷ এদিকে স্থানীয় জনগণ ঐ যুবতীকে সেখানে ঘুরাফেরা করতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়৷ পুলিশ ঐ যুবতীকে উদ্ধার করেছে৷ যুবতীটি বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারে না৷ পুরো ঘটনা ভালোভাবে পুলিশের কাছে বয়ানও করতে পারেনি৷ যতটুকু জানিয়েছে, তাতে জানা গিয়েছে রাহুল দাস সহ তার সাকরেদরা আগরতলার কোথাও ঐ যুবতীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে৷ ঐ যুবতীর কাছ থেকে দুটি মোবাইল নম্বর পাওয়া গিয়েছে৷ পুলিশ ঐ নম্বরে কল করেছে কিন্তু সুইচ অফ৷ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ খবর লেখা পর্যন্ত পুলিশ ধর্ষণকারীদের কোন হদিশ পায়নি৷ পুলিশ নির্যাতিতা যুবতীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে বলে জানা গিয়েছে৷
বিশ্রামগঞ্জ বিওসি থেকে ২০০ মিটার দূরে এক প্রতিবেশী মহিলাকে ধর্ষণ করতে গিয়ে ধরা পড়ে গণধোলাই খেয়ে এখন শ্রীঘরে বন্দি৷ বিশ্রামগঞ্জ বিওসিতে কাজ করে লিটন দেবনাথ নামে এক যুবক৷ শুক্রবার দুপুর ১টায় পেট্রোল পাম্পের উল্টো দিকে একটি বাড়ির গৃহবধূর সাথে ফস্টিনস্টি করতে গিয়ে ধরা পড়ে৷ দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী মহিলার সাথে চলে অবৈধ সম্পর্ক৷ এক সন্তানের জননী গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে না থাকায় সুযোগ বুঝে বাড়িতে ঢোকে পড়েন বিওসির কর্মী লিটন৷ ঠিক এমন সময় গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে এসে ঘরের মধ্যে আপত্তিজনক অবস্থায় দেখতে পান লিটনকে৷ সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় এই অবৈধ গুঞ্জনের খবর পৌঁছায়৷ এলাকাবাসীরা লিটনকে উত্তম মধ্যম দিয়ে বিশ্রামগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন৷ বিশ্রামগঞ্জ থানার পুলিশ এখন ঘটনাটি চাপা দিতে চাইছে৷ এলাকায় জনগণ পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ৷