স্তব্ধ জাতীয় সড়ক, বাঁশের চাঙ্গিতে বসিয়ে রোগীকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দশ কিলোমিটার

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ১৬ জুলাই৷৷ আগাম আগরতলা জাতীয় সড়কে যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে পড়েছে বৃষ্টিতে বেহাল

চুড়াইবাড়ি থেকে লোয়ারপোয়া পর্যন্ত দশ কিমি পথ  এভাবেই রোগীকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নিত্যদিন৷ শনিবার তোলা ছবি নিজস্ব৷
চুড়াইবাড়ি থেকে লোয়ারপোয়া পর্যন্ত দশ কিমি পথ এভাবেই রোগীকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নিত্যদিন৷ শনিবার তোলা ছবি নিজস্ব৷

অবস্থার দরুন৷ চালক ও যাত্রীরা চরম হয়রানীতে দিন কাটাচ্ছেন৷ রাজ্যের রোগীদের বহিঃরাজ্যে চিকিৎসার জন্য যাতায়াতে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে৷ সড়ক বন্ধ হয়ে রয়েছে লোয়ারপোয়া এলাকায়৷ চুড়াইবাড়ি থেকে লোয়ারপোয়া পর্যন্ত প্রায় দশ কিলোমিটার এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে৷ এই অবস্থায় রোগীদের আসামে নিয়ে যাওয়ার জন্য চরম দুর্ভোগে পড়ছেন জনগণ৷ বাঁশের চাঙ্গি বানিয়ে তাতে রোগীকে বসিয়ে কাধে করে এই দশ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হচ্ছে৷ কবে নাগাদ এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলবে তার কোন সুনির্দিষ্ট জবাব নেই আসাম ও ত্রিপুরা সরকারের কাছে৷ চুড়াইবাড়ি থেকে লোয়ারপোয়া পার হতে বাঁশের চাঙ্গি ব্যবহার করা হচ্ছে রোগীদের জন্য৷ লোয়ারপোয়া পার হওয়ার পর অন্য গাড়িতে করে গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে হচ্ছে রোগী ও তার পরিবারের লোকজনকে৷ প্রায় এক মাসেরও বেশী সময় যাবৎ আসাম আগরতলা জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে আছে৷ শত শত যানবাহন আটকা পড়ে রয়েছে৷ যান চালকরা তীব্র খাদ্য সংকটে ভুগছেন৷ আসামের করিমগঞ্জ জেলার লোয়ারপোয়া থেকে চুড়াইবাড়ি পর্যন্ত দশ কিলোমিটার রাস্তা কৃষিজমির রূপ দারণ করে৷ বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে জাতীয় সড়কের উপর৷ যান চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে৷ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজ্যে আসা লরি চালকদের ঐ দশ কিলোমিটার বেহাল পথের জন্য মাসের পর মাস দাঁড়িয়ে থাকতে হয় লোয়ারপোয়য় গভীর জঙ্গলে৷ এক টাকার জিনিস দুই টাকা দিয়ে ক্রয় করতে হচ্ছে যানচালকদের৷
জাতীয় সড়কে আটকে থাকা লরিগুলির চালকরা প্রাণের ঝঁুকি নিয়ে টাকা খরচ চরে ড্রজারের সাহায্যে ঐ দশ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করছেন৷ কোনদিন চার পাঁচটি আবর কোনও দিন একটি লরি নিয়ে ত্রিপুরায় প্রবেশ করেছ চালকরা৷ এতকিছুর পরও আসাম সরকার কিংবা ত্রিপুরা সরকার কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না৷ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লরি চালকরা ক্ষোভে ফুসছেন৷ যেকোন সময় ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটতে পারে৷