পান্না চৌদ্দদিনের জেল হাজতে, পুলিশের ফরোয়ার্ডিং নিয়ে জট

Lawনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ জুলাই৷৷ ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত সাসপেন্ডেড টিসিএস অফিসার পান্না আহমেদকে চৌদ্দদিনের জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত৷ শনিবার তিনদিনের পুলিশ রিমান্ড শেষে ফের তাঁকে আদালতে তোলা হয়৷ এদিন আদালতে পুলিশী জেরার রিপোর্ট এবং কেইস ডাইরী জমা দেয় পুলিশ৷ সাথে জমা পড়ে ধর্ষিতা মহিলার মেডিকেল রিপোর্টও৷ আদালতে এই মেডিকেল রিপোর্ট নিয়ে বিবাদী পক্ষের আইনজীবী বেশ কিছু প্রশ্ণ তুলেছেন৷ সওয়াল করতে গিয়ে বিবাদী পক্ষের আইনজীবী বলেন, মেডিকেল রিপোর্টে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে সুনির্দিষ্টভাবে তেমন কিছু উল্লেখ নেই৷ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ধর্ষণ হতেও পারে আবার নাও হতে পারে৷ ফলে তিনি ঘটনার দিন অভিযোগকারী মহিলার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মোবাইলের কল রেকর্ড এবং ম্যাসেজ তদন্ত করে দেখার অনুরোধ জানান৷ পাশাপাশি তিনি মেডিকেল রিপোর্টে ধর্ষণের ঘটনায় অস্পষ্টতা রয়েছে বলে তার মক্কেলের জামিনের আবেদন জানান৷ জামিনের বিষয়ে সরকার পক্ষের আইনজীবীরা বিরোধীতা করে বলেন, অভিযুক্ত একজন প্রভাবশালী অফিসার ছিলেন৷ ফলে, জামিনে ছাড়া পেলে তিনি তদন্ত কাজে তার প্রভাব খাটাতে পারেন৷ এজন্য এই মুহুর্তে অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করা তদন্তের সাপেক্ষে ঠিক হবে না৷ আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনে ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত পান্না আহমেদকে চৌদ্দদিনের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়৷ এদিকে, পুলিশের ফরোয়ার্ডিং রিপোর্ট নিয়ে আদলেতে অভিযোগ করেছেন বিবাদী পক্ষের আইনজীবী রঘুনাথ মুখার্জী৷ তাঁর অভিযোগ তদন্তকারী অফিসার অলিভিয়া দেববর্মা এদিন আদালতে  সকালে পুলিশের ফরোয়ার্ডিং রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর তা পুনরায় থানায় নিয়ে গিয়ে সংশোধন করে দিয়েছেন৷ এই ধরণের ঘটনা পুলিশ কোর্টে হামেশাই ঘটে থাকে বলে তিনি আদালতকে অভিহিত করেছেন৷  ফলে, এর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি৷