সংঘর্ষবিরতিতে তৃতীয় পক্ষ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সুদীপ রায় বর্মন

আগরতলা, ১৫ মে: পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করল ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার আগরতলার কংগ্রেস ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য সুদীপ রায় বর্মন কেন্দ্রের “হঠকারী সিদ্ধান্ত” নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং একে “ভারতীয় জনতার ঐক্যবদ্ধ মনোভাবের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা” বলে আখ্যা দেন।

তিনি বলেন, “দীর্ঘ সময় পর সমগ্র জাতি পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছিল। সমস্ত রাজনৈতিক দল, কংগ্রেস সহ, জাতীয় নিরাপত্তার এই সংকটময় মুহূর্তে কেন্দ্রের পাশে দাঁড়িয়েছিল। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সফলভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। অথচ যেভাবে যুদ্ধবিরতি গ্রহণ করা হয়েছে, তাতে একাধিক অস্বস্তিকর প্রশ্ন উঠছে।”

সুদীপ রায় বর্মন আরও বলেন, পাকিস্তান যখন কূটনৈতিক ও কৌশলগতভাবে চাপে, তখন কোনো শর্ত ছাড়াই যুদ্ধবিরতি গ্রহণ করার অর্থ বোঝা দায়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু হয়েছিল, কিন্তু শেষ হল বাণিজ্য আলোচনায়। হাফিজ সইদ, মাসুদ আজহারের মতো সন্ত্রাসের নায়করা আজও বহাল তবিয়তে রয়েছে। তাহলে কী বার্তা দিচ্ছে ভারত? আর আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প কবে থেকে হস্তক্ষেপ করার অধিকার পেলেন? সাংবাদিক সোম্মেলনে এই প্রশ্ন তুলেন তিনি।

তিনি ভারত সরকারের কূটনৈতিক অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তাঁর মতে, প্রাথমিক হামলার পরে কিছু দেশ ভারতের পাশে থাকলেও, সীমান্ত উত্তেজনার সময় ভারতকে সমর্থন করেনি। “চীন ও তুরস্ক প্রকাশ্যে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াল। তাহলে আমাদের কূটনৈতিক ক্ষমতা কোথায় গেল?” — প্রশ্ন তাঁর।

এদিন বিজেপির আইটি সেলকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন সুদীপ রায় বর্মন। তিনি অভিযোগ করেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ভুয়ো ছবি বানানো ও তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে। একাধিক অভিযোগ সত্ত্বেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। এভাবে ভুয়ো তথ্য ছড়ানো গণতন্ত্রের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক। প্রধানমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে জবাবদিহি করার আহ্বান জানান কংগ্রেস নেতা।