নয়াদিল্লি, ২৯ জানুয়ারি ৷৷ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মহানির্দেশক হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন কে সতীশ নাম্বুদিরিপাদ। তিনি অষ্টলক্ষ্মী রাজ্যের জন্য প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো এবং সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ কমিউনিকেশনের অফিসের প্রধান হবেন।
এর আগে তিনি সেন্ট্রাল ব্যুরো অব কমিউনিকেশন, হেডকোয়ার্টারের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি দিল্লিতে ভারত সরকারের আই অ্যান্ড বি মন্ত্রকের অধীনে দুটি মিডিয়া সংস্থা ইলেকট্রনিক মিডিয়া মনিটরিং সেন্টার এবং নিউ মিডিয়া উইংয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) ছিলেন। তিনি ভারতীয় তথ্য পরিষেবা অফিসারদের জন্য মর্যাদাপূর্ণ সাংবাদিকতা স্কুল কাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ মাস কমিউনিকেশনের (আইআইএমসি) এডিজি (প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ) এর দায়িত্বেও ছিলেন।
শ্রী কে সতীশ নাম্বুদিরিপাদ ইন্ডিয়ান ইনফরমেশন সার্ভিসের ১৯৯১ ব্যাচের অফিসার। শ্রী নাম্বুদিরিপাদ তাঁর ৩০ বছরের দীর্ঘ কর্মজীবনে প্রসার ভারতী কর্পোরেশনের অতিরিক্ত মহাপরিচালক, কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গণবন্টন ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রীর একান্ত সচিব, ২০০৬-২০০৯ সালে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের পরিচালক (মাধ্যমিক শিক্ষা) এবং কপিরাইট ইন্ডিয়ার রেজিস্ট্রার, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের ওএসডি (সম্প্রচার) এবং ১৯৯৮-২০০২ সালে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রয়াত ডঃ কে আর নারায়ণন এর উপ-প্রেস সচিবের মতো পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ২০০২-২০০৫ সালে তাঁর নিজ রাজ্য কেরালায় এনওআরকেএ বিভাগের (অনাবাসী কেরালাইটস বিষয়ক) প্রথম প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে তিনি বিভাগের বাস্তবায়নকারী সংস্থা নোরকা-রুট স্থাপন এবং অনাবাসী কেরালাবাসীদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কৃতিত্ব অর্জন করেছেন৷
ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর, শ্রী নাম্বুদিরিপাদ আইআইএমসি, দিল্লি থেকে ইংরেজি সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা এবং আইএসবি, হায়দরাবাদ/মোহালি থেকে পাবলিক পলিসিতে স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামও অর্জন করেছেন। তিনি আইআইপিএ দিল্লি, আইআইএম ব্যাঙ্গালোর, এলবিএসএনএএ, মুসৌরি, যুক্তরাজ্যের ইস্ট অ্যাঙ্গলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলের মতো প্রতিষ্ঠান থেকে পাবলিক পলিসি, স্কিম বাস্তবায়ন, যোগাযোগ প্রশাসন, পারফরম্যান্স ম্যানেজমেন্ট এবং পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ উদ্যোগ ইত্যাদির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।