কলকাতা, ৯ নভেম্বর (হি.স.) : হাইকোর্টে পিছিয়ে গেল ডিএ ইস্যুতে রাজ্যের বিরুদ্ধে করা আদালত অবমাননার মামলার শুনানি। আগামী ৩০ নভেম্বরের পর ফের এই মামলার শুনানি হবে। পাশাপাশি রাজ্যকে দ্রুত সুপ্রিম কোর্টে লিভ পিটিশন দায়েরের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার কথা বলা হয়েছে।
রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) মেটানোর বিষয়ে কলকাতা হাই কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তা বাস্তবায়নের জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করা যায় না। ডিএ নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং অর্থসচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলায় বুধবার এমনই মন্তব্য উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের। শুধু তা-ই নয়, বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ডিএ জট নিয়ে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেও সেই মামলা এখনও স্থায়ী নম্বর পায়নি। ফলে আইন অনুযায়ী হাই কোর্ট মামলা শুনতেই পারে।
উচ্চ আদালতের ডিএ মামলায় নির্দেশ যথা সময়ে পালন না হওয়ায় রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং অর্থসচিব মনোজ পন্থ শাস্তির মুখে পড়বেন কি না, তা নিয়েই বুধবার শুনানি ছিল। দুই আমলার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেছিল রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠনগুলি। বিচারপতি হরিশ টন্ডন ও রবীন্দ্রনাথ সামন্তের বেঞ্চ সেই মামলায় স্পষ্ট জানায়, হাই কোর্টের রায় বাস্তবায়নের জন্য অনন্তকাল অপেক্ষা করা যায় না।
গত মে মাসে রাজ্য সরকারী কর্মীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার জন্য তিনমাস সময় বেঁধে দিয়েছিল হাই কোর্ট। গত ১৯ আগস্ট সেই তিনমাসের সময়সীমা উত্তীর্ণ হয়েছে। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও ডিএ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেনি রাজ্য। যা আদালত অবমাননার সামিল। সেই ইস্যুতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন সরকারী কর্মীরা। কিন্তু তাতেও রাজ্য সরকার ডিএ দিতে নারাজ। আদালতে জানানো হয়েছে, এই হারে ডিএ দেওয়া সম্ভব নয়। তাই হাই কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনও জানাতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু আদালত সেই মামলা গ্রাহ্য করেনি। কড়া নির্দেশ ছিল, বকেয়া ডিএ মেটাতেই হবে।