নয়াদিল্লি, ১৪ ডিসেম্বর (হি. স.) : নিজের স্বার্থে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু সংবিধান পরিবর্তন করেছিলেন। শনিবার সংসদে সংবিধান বিতর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এভাবেই নেহরু-গান্ধী পরিবারকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সংবিধান পরিবর্তন নিয়ে ‘রক্তের স্বাদ’ পাওয়া গান্ধী পরিবার তারপর বারবার সংবিধান পরিবর্তন করেছে বলে আক্রমণ করেন তিনি। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কংগ্রেসের প্রদেশ কমিটিগুলি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে চেয়েছিলেন। তারপরও প্রধানমন্ত্রী হন জওহরলাল নেহরু।
মোদী বলেন, “যখন ১৯৪৭ সালের পর প্রথম নির্বাচনের আগে নির্বাচিত সরকার ছিল না, তখন সংবিধান সংশোধন করে দিয়েছিলেন। স্বাধীনতার উপর হাতুড়ি মেরে সংবিধান নির্মাতাদের অপমান করেছিলেন। সংবিধান সভায় যা যা করতে পারেনি, তা পিছনের দরজা দিয়ে করেছেন।”
নেহরুকে আক্রমণ করে মোদী বলেন, “নেহরু মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, যদি আমাদের কাজে কোথাও সংবিধান প্রতিবন্ধক হিসেবে আসে, তাহলে যে কোনও পরিস্থিতিতে সংবিধান বদলাতে হবে।”
সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের কথা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সেইসময় ১২টি প্রদেশ কংগ্রেস সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে প্রধানমন্ত্রী করতে চেয়েছিল। নেহরুকে একটি প্রদেশ কংগ্রেস কমিটিও চায়নি। তারপরও দলের সংবিধান না মেনে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নেহরু। কংগ্রেস নিজেদের পার্টি সংবিধান কখনও স্বীকার করেনি। তারা দেশের সংবিধান কী মানবে।”
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে নিশানা করে তিনি বলেন, “সংবিধান পরিবর্তন করে যে রক্তের স্বাদ নেহরু পাইয়ে দেন, তারপর যখন ইচ্ছে সংবিধানের খুন করেছেন ওঁরা। ইন্দিরা গান্ধীর আমলে আদালতের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছিল।” জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রের কোনও পদে না থেকেও ইউপিএ সরকারের সময় সোনিয়া গান্ধীর ক্ষমতা নিয়ে আক্রমণ করেন মোদী। টেনে আনেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের একটি বক্তব্য। পুরো কংগ্রেস পার্টিকে একটি পরিবার কব্জা করে নিয়েছে বলে তোপ দাগেন মোদী।