কাকলি দাস
কলকাতা : রবিবার কলকাতার লেকটাউনের মানিক্য মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় বাঁশি শিক্ষার একাডেমি মেলোডিকার প্রথম বার্ষিক অনুষ্ঠান । “গুরু প্রণাম” শীর্ষক সেই অনুষ্ঠানে নিজের গুরুদের শ্রদ্ধা জানালেন মেলোডিকার কর্ণধার তথা প্রখ্যাত বংশীশিল্পী তথা আন্তর্জাতিক স্তরে বাঁশির শিক্ষক (গুরুজী) অশোক কুমার কর্মকার । সেই অনুষ্ঠানেই বাঁশির সুরে সকলকে মোহিত করলেন অশোক কুমার কর্মকারের শিষ্যরা ।
গত ২৪ নভেম্বর রবিবার, মানিক্য মঞ্চে “গুরু প্রণাম” অনুষ্ঠানে নিজের গুরু পণ্ডিত হিমাংশু বিশ্বাস, পণ্ডিত দীপক চৌধুরী, পন্ডিত বিশ্বনাথ সুর ও ডক্টর প্রদীপ চক্রবর্তীদের শ্রদ্ধা জানান । এরা সকলেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রখ্যাত শিল্পী । পণ্ডিত হিমাংশু বিশ্বাস বহুমুখি যন্ত্রশিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক – তিনি ওস্তাদ দবীর খাঁ ও পন্ডিত চিন্ময় লাহিড়ীর শিষ্য ছিলেন । পন্ডিত দীপক চৌধুরী ছিলেন পন্ডিত ববিশংকরজীর শিষ্য । পন্ডিত বিশ্বনাথ সুর ছিলেন কিংবদন্তি এ টি কাননও কুমার প্রসাদ মুখার্জির শিষ্য । অশোক কুমার কর্মকারের বর্তমান গুরু ডক্টর প্রদীপ চক্রবর্তীর নিজের কাকা অনাথ চক্রবর্তী ও তিনি কিংবদন্তি বিশ্ববরেণ্য সেতার বাদক পন্ডিড রবিশংকরজীর শিষ্য।
বাঁশি শিক্ষার একাডেমি মেলোডিকার প্রথম বার্ষিক অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আকাশবানী ও দূরদর্শনের পূর্ব ক্ষেত্রের প্রাক্তন অধিকর্তা প্রথিতযশা শিল্পী সুনীত চট্টোপাধ্যায় । শিল্পী সুনীত চট্টোপাধ্যায় এই “গুরু প্রণাম” উদ্যোগকে অকুন্ঠ সাধুবাদ জানান ও অশোক কুমার কর্মকারের গুরুজী গনের সঙ্গীত জগতে বিশেষ অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দেন।
প্রধান অতিথি রূপে উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণ মিশন নরেন্দ্রপুর পরিচালিত গোহালডাঙ্গা আশ্রমের ভারপ্রাপ্ত স্বামী হররুপানন্দ সন্ন্যাসী মহারাজ। স্বামী হররুপানন্দ মহারাজ অসাধারন বক্তব্য শেষে সমবেত অনুরোধে বাঁশি বাজিয়ে সকলকে মুগ্ধ করেন।
এদিনের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি রূপে উপস্থিত ছিলেন অশোক কুমার কর্মকারের বর্তমান গুরু ডক্টর প্রদীপ চক্রবর্তী । তিনি তাঁর ছাত্রের গুরুভক্তি, শিক্ষা ও সংস্কার নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এদিন একাধিক অসাধারন সমবেত বাদন ও একক বাঁশি বাদন সকলকে মন্ত্রমুগ্ধ করে। এছাড়া এদিনের অনুষ্ঠান মূলত ‘মেলোডিকা ফ্লুট অ্যাকাডেমির ‘ হলেও সরোদ,এসরাজ ,কি বোর্ড ও কন্ঠ সংগীত এর বৈচিত্র্যময় ভরাট ও সুনিয়ন্ত্রিত অনুষ্ঠানে সকলে মন্ত্রমুগ্ধ হন।
গুরুজী অশোক কুমার কর্মকারের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ছাত্র ছাত্রীদেরর মধ্যে ছিলেন সুদূর ইউরোপ থেকে আগত অধ্যাপক ড. সুরেশ গোবিন্দ মূর্তি, কোচবিহার থেকে সমীর দেব, শান্তনু রায়, রাহুল দেবনাথ, সৌরভ চক্রবর্তি, দেবাঙ্ক দাস, স্মিতা দেবনাথ, সুরুপা নন্দন, তনুশ্রী ব্যানার্জী (এসরাজ), তুষার দিংগল, বিকাশ কান্তি দাস, সুরেশ মন্ডল, সায়ন ভৌমিক ( সরোদ), সন্দীপ ভৌমিক, শুভাশীষ দাস,কাজরি বিশ্বাস, অধ্যাপক ড. অনন্য দেব রায়, দুষ্মন্ত ব্যনার্জী, অংশু সাঁতরা, কৃষ্ণা পাল, দেবজ্যোতি ঘোষ, পৌলমী মুখার্জী,সর্বকনিষ্ঠ অরণ্য দাস, রিষিত সরকার প্রমুখ। তবলায় সঙ্গত করেন মনোজ পান্ডে, শ্রীকান্ত মন্ডল, সমীর দেব ও অনুপম প্রামানিক l এদিনের সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শান্তনু রায় ।
ReplyForwardAdd reaction |