BRAKING NEWS

স্বামীর চারিত্রিক অধঃপতন সহ্য করেও একমাত্র সন্তানের জন্য লাঞ্ছনার শিকার গৃহবধূ

আগরতলা, ২৭ সেপ্টেম্বর : স্বামীর চারিত্রিক অধঃপতন সহ্য করেও একমাত্র সন্তানের জন্য আজ লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছেন গৃহবধূ । ওই ঘটনায় সোনামুড়া থানা দিন পূর্ব দুর্লভ নারায়ণ ৪ নং ওয়ার্ড এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছাড়িয়েছে।

ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, গত ২০১০ সালে সম্পূর্ণ সামাজিক নিয়মে পূর্ব দুর্লভ নারায়ণ এলাকার বাসিন্দা স্বর্গীয় আব্দুল রশিদের ছেলে শামসুল হক ( সুমন) এর সাথে বিয়ে হয় একই থানা এলাকার রবীন্দ্রনগর নিবাসী মৃত আব্দুল আজিজ এর মেয়ে শাহানা খাতুনের। অভিযোগ, বিয়ের পর কিছু সময় সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও ধীরে ধীরে স্বামীর চারিত্রিক অধঃপতন লক্ষ্য করতে থাকেন গৃহবধূ। কিন্তু একমাত্র কন্যা সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে কোন একদিন হয়তোবা শুধরে যাবে চরিত্রহীন স্বামী সেই আশাতে স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে থাকে সে।
কিন্তু অভিযোগ ২০১৯ সালে কালাপানিয়া এলাকার জেসমিন খাতুন নামে এক মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে বহিরাজ্যে পাড়ি দেয় তার স্বামী। ঘটনায় বিস্তারিত জানিয়ে থানায় মামলাও করা হয় মামলা গড়ায় কোট পর্যন্ত। মাননীয় আদালত শাহানা খাতুন এবং তার একমাত্র কন্যা সন্তান পায়েল আক্তারের ভরণপোষণ দেওয়ার আদেশ দেন অভিযুক্ত স্বামী শামসুল হক সুমনকে। কিন্তু গৃহবধূর অভিযোগ আদালতের আদেশকো মান্যতা দিচ্ছে না তার স্বামী কোনভাবেই তাদেরকে সহায়তা করছে না সে বরং বহি রাজ্য থেকে একবার বাড়িতে এসে নাকি গৃহবদ্দুর উপর চড়াও হয় সুমন তাকে খুন করার ও চেষ্টা করে সুমন। মেয়ের কারণে বরাত বেঁচে যায় গৃহবধূ শাহেনা। বর্তমানে সহেনা শ্বশুরবাড়িতেই থাকছেন কিন্তু শ্বশুর বাড়ির কেউই তাকে কোন সহায়তা করছে না। তার বাবার বাড়ি থেকে পাঠানো অর্থ দিয়েই একমাত্র ১৩ বর্ষীয় কন্যাকে নিয়ে কোনক্রমে দিন যাপন করছে গৃহবধূ। অসহায় গৃহবধূ সর্বস্ব খুইয়ে এখন দ্বারস্ত হয়েছে সংবাদ মাধ্যমের। কেননা আদালতের রায়ের সম্পর্কে পুলিশকে জানালেও পুলিশ বলে তার স্বামীর খোঁজ তারা দিতে পারবেন না।
তাই অসহায় গৃহবধূর সংবাদ মাধ্যমের দ্বারস্থ হয়ে নিজের দুরবস্থার কথা বিবরণ করে এ থেকে পরিত্রাণের রাস্তা খুঁজে দেয়ার আহ্বান জানান প্রশাসনের নিকট যেন একমাত্র কন্যা সন্তানকে নিয়ে দুবেলা দুমুঠো খেয়ে কোনক্রমে জীবন অতিবাহিত করতে পারেন। সেই ব্যবস্থাটুকু করে দেওয়ার সুযোগ যেন প্রশাসন করে দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *