আগরতলা, ২৭ সেপ্টেম্বর: ত্রিপুরা সরকার নয়টি বিভাগে বিভিন্ন পদে ১২
২৬৫ জনকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া দুটি বিভাগের অধীনে ১৯৩টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হবে। গতকাল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ সাংবাদিক সম্মেলনে এই সিদ্ধান্ত জানালেন পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
এদিন তিনি বলেন, কৃষি কলেজে একজন অধ্যক্ষ নিয়োগ করা হবে এবং ত্রিপুরা ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের জন্য চুক্তিভিত্তিক একজন উপদেষ্টা বা পরামর্শদাতা নিয়োগ করা হবে। তাছাড়া, বন, রাজস্ব, জনজাতি কল্যাণ, নির্বাচন, অর্থ, স্বরাষ্ট্র, সাধারণ প্রশাসন (সচিব প্রশাসন), প্রাথমিক বিভাগে ১,২৬৫ জনকে নিয়োগ করা হবে।
এদিন তিনি আরও বলেন, স্কুল শিক্ষা বিভাগ এবং স্কুল শিক্ষা এবং যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া বিভাগের অধীনে ১৯৩টি পদ তৈরি করা হবে। সাথে তিনি যোগ করেন,
মোট ১৯৪টি ‘বনরক্ষী’ পদ তৈরি করা হবে। নির্বাচন দপ্তরের অধীনে একটি প্রোগ্রামার এবং দুটি পদে এসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রামার মিলিয়ে মোট তিনটি পদে সরাসরি টিপিএস সি’র মাধমে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তাছাড়া, মন্ত্রিসভা বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জনজাতি কল্যান দপ্তরের অধীনে ষষ্ট থেকে অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত ২৫ হাজার ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপের টাকা ৪০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করা হয়েছে। অর্থ দপ্তরে গ্রুপ ডি পদে ১২ টি পদে লোক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র দপ্তরে ২১৮ টি এসআই পদে টিপিএসসি এর মাধ্যমে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেনারেল এডমিনিস্ট্রেশন (এস এ) এর অধীনে ১৯ টি পদে ড্রাইভার নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত। জেনারেল এডমিনিস্ট্রেশন (এস এ) এর অধীনে গ্রুপ ডি পদে ৮৮ টি শুন্য পদ পূরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রীসভা। জানিয়েছেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
চৌধুরী বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের অধীনে, বিদ্যাজ্যোতি স্কুলে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার জন্য ৩৫২ জন শিক্ষক টেট-এর মাধ্যমে পূরণ করা হবে। তাছাড়া, স্কুল শিক্ষা বিভাগের অধীনে বিদ্যাজ্যোতি স্কুলগুলিতে ১২৫টি স্কুল গ্রন্থাগারিক” পদ পূরণ করা হবে। শূন্য পদ পূরণের পাশাপাশি, মন্ত্রিপরিষদের মুখপাত্র বলেছেন, “মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা স্কুল শিক্ষা বিভাগের অধীনে কম্পিউটার বিজ্ঞানের স্নাতকোত্তর শিক্ষকের ১১৮টি এবং যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া বিভাগের অধীনে জুনিয়র শারীরিক প্রশিক্ষকের ৭৫টি পদ সৃষ্টি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
তদুপরি, মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ভারতের অনেক রাজ্যের নিজস্ব লোগো রয়েছে। আইসিএ বিভাগ একটি লোগো তৈরি করে অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।