নিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলাসহর, ২৮ জুন: সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রশাসন ও বিজেপির বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন ২০২৩ সালের ৫২-চন্ডীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তিপ্রা মথা দলের প্রার্থী তথা তিপ্রা মথা দলের সিটিজেন ফোরামের রাজ্য সভাপতি রঞ্জন সিনহা।
নিগো বাণিজ্যে নিয়ে অশান্ত কৈলাসহরে অশান্ত পরিস্থিতি। তবে এবার শহরের অশান্ত ও উৎশৃঙ্খল পরিবেশ নিয়ে মুখ খুললেন এক সময়ের ঊনকোটি জেলার প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি তথা বর্তমান তিপ্রা মথা দলের সিটিজেন ফোরামের রাজ্য সভাপতি রঞ্জন সিনহা।
শুক্রবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ উনার কৈলাসহরের চিরাকুটি এলাকার নিজ বাসভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন তিপ্রা মথা দলের সিটিজেন ফোরামের রাজ্য সভাপতি রঞ্জন সিনহা। সাংবাদিক সম্মেলনে রঞ্জন সিনহা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিটিজেন ফোরামের ঊনকোটি জেলা কমিটির সভাপতি রতন মনি সিনহা।
সাংবাদিক সম্মেলনে রঞ্জন সিনহা বলেন, গত ২৬ জুন বুধবার কৈলাসহরের বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় ঠিকাদারী কাজ নিয়ে গোলধারপুর এলাকায় যে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে তা শান্ত শহরকে অশান্ত করতেই কিছু দুষ্ট চক্রের এই পরিকল্পনা। মারপিটের ঘটনা সংগঠিত হওয়ার পর সেখানে আহতদের ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন তারা। আর তার কিছুক্ষণ পর উনার বাড়ির সামনে জাতীয় সড়কে রাখা গাড়িতে আক্রমণ করে দুষ্কৃতকারীরা।
এই ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে আসামি কর্ণজিত সিনহা, এমনি অভিযোগ করেন তিনি। রঞ্জন বাবু বলেন, এই কান্ড দেখার পর লজ্জা হয় বলতে যে, আমরা বিজেপি সরকারের সাথে যৌথভাবে সরকার চালাচ্ছি। এই ঘটনা সংগঠিত হওয়ার সময় রঞ্জন সিনহা কৈলাসহর থানার ওসিকে তিনবার ফোন করে সতর্ক করেন যে, এলাকায় বহিরাগত যুবকদের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। তিনবার ফোন করার পরও কৈলাসহর থানার ওসি সতর্ক হননি। তিনি পুলিশ পাঠাননি বলে অভিযোগ করেন।
রঞ্জন সিনহা জানান, তার গাড়ি ভাঙচুর করার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। অথচ এই গাড়ি ভাঙচুর ও সন্তোষ সিনহাকে যে মারধোর করেছে সেই কর্ণজিত সিনহাকে পুলিশ গ্রেপ্তার না করে তার বাড়ি সি.আর.পি.এফ দিয়ে পাহারা দিয়ে রেখেছে। এভাবে একজন অপরাধীর বাড়ি পাহারা দিয়ে রাখার ঘটনা রাজ্যে বিরল। এই ধরনের ঘটনার তিনি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আগামী দিনে এই ধরনের ঘটনা সংগঠিত হলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।